নিজস্ব প্রতিবেদন:  আলিপুর জেলে মাদক ও মোবাইল পাচারকাণ্ডে ধৃত চিকিত্সকের বিরুদ্ধে এবার মিথ্যাচারের অভিযোগ। অমিতাভ চৌধুরী নামে ওই চিকিত্সকের বিষয়ে সেনাবাহিনী যা বিবৃতি দিল, তাতে ঘটনার মোড় নিল অন্য। সেনাবাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ধৃত চিকিত্সক অমিতাভ চৌধুরী সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অভিযুক্ত সেনার হয়ে এর আগে কোনও কাজ করেননি।

শুক্রবার রাতে ফাঁদ পেতে অমিতাভ চৌধুরীকে ধরেন কারা দফতরের শীর্ষকর্তারা। দীর্ঘদিন ধরেই আলিপুর জেলের ভিতর চলছিল মাদক ও মোবাইল ফোনের রমরমা। তল্লাশি চালালেই মিলছিল মুঠোমুঠো মোবাইল ফোন। এত ফোন আসছে কোথা থেকে হদিস পাচ্ছিলেন না কারাকর্তারা। 

আরও পড়ুন: জামাইয়ের সঙ্গে ছিলেন শাশুড়ি, বাড়ির গলির মুখেই ভুল করায় ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি!

কারা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রহস্যভেদ করতে মাস কয়েক আগে তদন্ত শুরু করেন কারা দফতরের পদস্থ কর্তারা। তখনই সন্দেহের তির ঘোরে জেলের চিকিত্সকের দিকে। আধিকারিকরা জানতে পারেন, নাইট ডিউটিতে আসার সময় সঙ্গে মাদক ও তোলাবাজির টাকা নিয়ে ঢোকেন অমিতাভবাবু। চিকিত্সক হওয়ায় তাঁকে তল্লাশি করতেন না কারারক্ষীরা। সেই সুযোগেই জেলের ভিতরে পাচারচক্রের রাজা হয়ে উঠেছিলেন স্বয়ং চিকিত্সকই। 

আরও পড়ুন: ধাবায় বসে রাতের খাবার খেতে গিয়েই ফাঁস হল আসল কুকীর্তি!

দক্ষিণ শহরতলির নাকতলায় তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে বাস তাঁর। ছেলে থাকে বিদেশে। অমিতাভবাবুর স্ত্রী পেশায় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। এলাকায় ব্যাপক প্রতাপ অমিতাভবাবুর।  প্রথমে তদন্তে জানা যায়, প্রথমে সেনাবাহিনীতে চিকিত্সক ছিলেন অমিতাভ। ২০১৪ সালে অবসর গ্রহণের পর জেলের চিকিত্সকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার যা তথ্য দিল,  তাতে ঘটনার মোড় ঘুরল একশো আশি ডিগ্রি। সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অমিতাভ চৌধুরী সেনার সঙ্গে যুক্তই ছিলেন না। কোনওদিন তিনি সেনার হয়ে কাজ করেননি। এবার অমিতাভ চৌধুরীর আসল পরিচয় নিয়ে সন্ধিহান তদন্তকারীরা।

English Title: 
Accused Amitabh Chowdhury was not associated with the army! Alipore jail drug trafficking racket new information
News Source: 
Home Title: 

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আলিপুর জেলে মাদক পাচারকাণ্ডের মোড় ঘুরল একশো আশি ডিগ্রি

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আলিপুর জেলে মাদক পাচারকাণ্ডের মোড় ঘুরল একশো আশি ডিগ্রি!
Yes
Is Blog?: 
No
Section: