Abhishek Banerjee: ' প্রত্যেকটা জেলা থেকে প্রায় বিজেপি সাংসদরা....' ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে অভিষেক

'রাত্রিবেলায় কলকাতা থেকে বিমান নিয়ে এখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী।  যখন সবাই ঘুমিয়ে রয়েছে, তখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো মানুষের  পাশে গিয়ে দাঁড়ানো...এই দৃষ্টান্ত ভারতবর্ষে অন্য কেউ স্থাপন করতে পারেন না, আমরা কোনওদিন দেখিনি'।

Updated By: Apr 1, 2024, 06:14 PM IST
Abhishek Banerjee: ' প্রত্যেকটা জেলা থেকে প্রায় বিজেপি সাংসদরা....' ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে অভিষেক

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'যারা রাজনীতি করছেন, আমি বলব মানুষের পাশে দাঁড়ানো আছে উচিত'। ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে গিয়ে এবার বিরোধীদের নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। বললেন, 'এই জেলাগুলি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর। ২০১৯ সালে প্রত্যেকটা জেলা থেকে প্রায় বিজেপি সাংসদরা জিতেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনদিন মানুষের পাশে দাঁড়াননি'।

আরও পড়ুন:  Bengal Weather: 'মিনি টর্নেডোর' রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুর্যোগের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গে! কোন কোন জেলায় সতর্কতা জারি?

ঘটনাটি ঠিক কী? চৈত্রের শেষে ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, এমনকী, কোচবিহারও। জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। আহত বহু। দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে? গতকাল, রবিবার রাতে। জলপাইগুড়িতে কথা বলেছেন দুর্গতদের সঙ্গে।

আজ, সোমবার কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক। বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সকালবেলায় আসতে পারতেন। কিন্তু সকালবেলা এলে, যেহেতু অনেক মানুষ ভর্তি রয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালগুলি উপর জেলার মানুষ স্বাস্থ্য় পরিষেবার জন্য় নির্ভর করে। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য়ের অন্য়ন্য় জনপ্রতিনিধিরা, তাঁরা যদি যায়, নিশ্চিতভাবে পরিষেবা ব্য়াহতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেকারণে রাত্রিবেলায় কলকাতা থেকে বিমান নিয়ে এখানে পৌঁছে এবং সরাসরি সাড়ে ১২টা-১টার মধ্যে। যখন সবাই ঘুমিয়ে রয়েছে, তখন অতন্দ্র প্রহরীর মতো মানুষের  পাশে গিয়ে দাঁড়ানো। এই দৃষ্টান্ত ভারতবর্ষে অন্য কেউ স্থাপন করতে পারেন না, আমরা কোনওদিন দেখিনি'।

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে ভরাডুরি হয় তৃণমূলের। অভিষেক বলেন, 'যারা রাজনীতি করছেন, আমি বলব মানুষের পাশে দাঁড়ানো আছে উচিত। রাজনীতি, প্রচার, মিছিল, এসব ঠিক আছে। ২ দিন পরেও হলেও ক্ষতি নেই। এই জেলাগুলি  কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর। ২০১৯ সালে প্রত্যেকটা জেলা থেকে প্রায় বিজেপি সাংসদরা জিতেছিলেন। তাঁরা মানুষের পাশে কোনওদিন থাকেননি। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি বলছেন, বিজেপির ঝড়ে বাড়ি উড়ে গিয়েছে। যাঁদের ন্যূনতম উপলদ্ধি নেই. এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি না করে, দুর্যোগের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দু'টো প্রাণ যদি আমি বাঁচাতে পারি... তাঁদের মানসিকতা নেই'।

আরও পড়ুন: PM Ujjwala Yojana: প্রতিশ্রুতিই সার, মোদীর 'গ্যারান্টি' উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস পেলেনই না বাংলার ১৪ লক্ষ মহিলা

এদিকে উত্তরবঙ্গে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রশাসনকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আলিপুরদুয়ারে একটি ত্রাণশিবিরে পরিদর্শন করেন তিনি। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, 'এখন যেহেতু আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু আছে, কিন্তু বিপর্যয় আপদকালীন পরিস্থিতি। বিপর্যয় হচ্ছে ব্যতিক্রম। প্রশাসন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবরকম সাহায্য় করতে পারে। আমি প্রশাসনকে বলব, সমীক্ষা করে দেখুন এবং নিজের মতো করুন। অনুরোধ থাকবে, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য'।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.