Abhishek Banerjee: 'গদ্দারের জামানত বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে', অভিষেকের নিশানায় শুভেন্দু
তখনও নন্দীগ্রামে পৌঁছননি। মাঝ-পথেই জনসংযোগে সেরে নেন অভিষেক।
প্রবীর চক্রবর্তী: 'গদ্দারের জামানত আগামীদিনে বাজেয়াপ্ত হতে চলেছে মানুষের হাতে'। নন্দীগ্রামে পথে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে? বললেন, 'আগামীদিনে মেরদণ্ড সোজা রেখে লড়তে হবে'।
দূরত্ব ২০ কিমি। চন্ডীপুর থেকে হেঁটে নন্দীগ্রাম। তখনও গন্তব্য়ে পৌঁছননি অভিষেক। মাঝ-পথে জনসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'আমাকে যে দেখছে, সেই বলছে গদ্দারকে হারাতে হবে। আমরা তো তাড়াব, কিন্তু তাড়ানোর দায়-দায়িত্বটা আপনাদের নিতে হবে। কাঁধে জোড়াফুলে ঝান্ডা নিয়ে লড়াইটা অব্যাহত রাখুন'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'গদ্দারদের বলব, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে চণ্ডীপুর থেকে শুরু করেছি, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে শেষ করব। ক্ষমতা আছে, ২০ কিমি পদযাত্রা করার, রাতে মিটিং করার। কোনও বিজেপি নেতা-কর্মীদের যদি আপনাদের ভয় দেখায়। তাঁর বাড়ি ঘেরাও করবেন। আমাকে ডাকবেন, আমি নিজে থাকব আপনাদের সঙ্গে'।
আরও পড়ুন: Asansol: হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, বিক্রি হওয়া জমির দখল ফেরাল সরকার
একুশের বিধানসভা ভোটে প্রথমে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে বিজেপি প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর যেদিন ভোটগণনা হয়, সেদিন কখনও এগিয়ে ছিলেন মমতা, তো কখনও শুভেন্দু। শেষপর্যন্ত অবশ্য় জেতেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কীভাবে? ভোটের ফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন মমতা। মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।
অভিষেক বলেন, 'নন্দীগ্রামে যে ফল ২০২১-এ হয়েছে, লোডশেডিং করে জেতানো নেতা, অন্ততপক্ষে ৫০ হাজারের বেশি ব্যবধানে আগামিদিন নতুন করে নির্বাচন হয়, ভোটের রায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী এই আসনে জিতবে। এই যে বলছে না, ইডিকে দিয়ে তুলিয়ে দেব, সিবিআইকে দিয়ে তুলিয়ে দেব। বিজেপির মেয়াদ আর একবছর। তারপর সিবিআই-ইডি এই গদ্দারকে গ্রেফতার করবে। বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না'।