Sunderban: ২ পড়ুয়া ২ শিক্ষিকা, বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে সুন্দরবনের স্কুল
অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই অভিভাবকেরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের উপর ভরসা করে সেখানে সমস্ত ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছে। অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকার কারণে কোনও দিন মিড ডে মিল হলেও কোনও দিন মিড ডে মিল হয় না।
নকিব উদ্দিন গাজি: দু’জন ছাত্রছাত্রী দুজন টিচার নিয়ে চলছে ক্লাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা সুন্দরবন এলাকার গঙ্গাসাগরে এমনই দৃশ্য দেখা গেল। এভাবেই চললে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুন্দরবন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড।
স্কুলের বেহাল দশা, ভগ্নপ্রায় অবস্থায় পড়ে রয়েছে গঙ্গাসাগরের পুরুষোত্তমপুর ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মনসা সেবা সদন স্কুল। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও অত্যন্ত কম হাতে গোনা এক বা দুইজন। আর তাতেই দুজন শিক্ষিকাকে নিয়ে চলছে এই স্কুল। ২০০২ সালে গঙ্গাসাগরের ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মানব সেবা সদন এসএসকে স্কুল চালু করা হয় শিশু শিক্ষা জন্য।
প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছাত্রছাত্রী থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়ায় হাতে গোনা কয়েকজনে। স্কুলে খাতায় কলমে ১১ জনের নাম থাকলেও প্রত্যেকদিন স্কুলে আসে দু থেকে তিনজন ছাত্র-ছাত্রী। আবার কোনওদিন সেই সংখ্যাটা একজনে গিয়েও দাঁড়ায়। আর তাতেই দুজন শিক্ষিকা নিয়ে কোনও রকমে চলছে এই স্কুল।
অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই অভিভাবকেরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় রামকৃষ্ণ মিশনের উপর ভরসা করে সেখানে সমস্ত ছেলেমেয়েদের ভর্তি করছে। অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম থাকার কারণে কোনও দিন মিড ডে মিল হলেও কোনও দিন মিড ডে মিল হয় না। তবে ওই স্কুলের শিক্ষিকার দাবি স্কুলের এমন অনেক অভিভাবকই রয়েছে যাদের স্কুলের খাতায় নাম রয়েছে প্রত্যেক বছর তাদের সরকারি সার্টিফিকেট ও প্রদান করা হয় কিন্তু কোনদিনই সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসে না পার্শ্ববর্তী মিশনে ভর্তি হয়েছে সবাই।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: ফেব্রুয়ারির শেষে রাজ্য থেকে গায়েব শীত, গরমের দাপট শুরু রাজ্যে
সরকারের পক্ষ থেকে শিশু শিক্ষা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর জন্য ঢালাও ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে সেখানে এই ভাবেই সরকারি টাকা দিনের পর দিন নয় ছয় হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
তবে বিরোধীদের দাবি স্কুলের পরিকাঠামো ঠিকঠাক না হওয়ার কারণেই ছাত্রছাত্রীরা আসছে না ওই স্কুলে। অন্যদিকে বছরের পর বছর এই ভাবেই স্কুল চালিয়ে সরকারি মাইনে পাচ্ছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আর এই ভাবেই সরকারি টাকা নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Sagardighi By-Election: উপনির্বাচনের আগে অপসারিত সাগরদিঘি থানার ওসি...
তবে এভাবে স্কুল চললে আগামী দিনে বন্ধ করে দিতে হবে বলে এমনটাই জানালেন সুন্দরবন ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক।
স্কুল কি তার নিজস্বতায় ফিরবে নাকি বন্ধ হয়ে যাবে সেদিকে তাকিয়ে আছে গ্রামবাসীরা।