মত্ত স্বামীর বেধড়ক মারে মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার
নিজের জীবন দিয়েই ‘সুখী’ দাম্পত্যের মাশুল গুনতে হল তাঁকে। মত্ত স্বামীর মারেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার শুরু করেছিলেন স্বামী। নিত্যদিনই মদ খেয়ে বাড়িতে ফিরে চলত অকথ্য গালগালাজি, মারধর। স্ত্রী মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এক সন্তানের জন্ম দিতে পারলে হয়তো সংসারে সুখ আসবে! সন্তানসম্ভবা হলেন তিনি, কিন্তু ফিরল না সুখ। বরং নিজের জীবন দিয়েই ‘সুখী’ দাম্পত্যের মাশুল গুনতে হল তাঁকে। মত্ত স্বামীর মারেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাড়ুইয়ের দীঘা গ্রামে।
আরও পড়ুন: মোবাইল-প্রেমের গেরো, কিশোরের কপালে জুটল মায়ের থেকেও বয়সে বড় বউ
বছর দশেক আগে বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা রাজেশ শাহের সঙ্গে পাড়ুইয়ের দীঘা গ্রামের বাসিন্দা মেহরানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে মেহরানের ওপর তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। ছোটোখাটো কারণে মেহরানকে মারধর করা হত।
আরও পড়ুন: গুলিতে মৃত্যু হল বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার!
এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেহরান। ভেবেছিলেন অশান্তি এবার কমবে! কিন্তু তেমনটা হয়নি। মেহরানের ওপর আরও বেশি অত্যাচার শুরু করেন রাজেশ। দিন দশেক আগে বাড়িতেই মেহরানকে বেধড়ক মারধর করেন রাজেশ। মেহরানের আর্তচিত্কারে স্থানীয়রাই রাজেশের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে উদ্ধার করে। বোলপুরে সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মেহরানকে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢেকে দেওরকে মদ দিলেন বৌদি! তারপর যা করলেন...
কিছুদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছুটি পান মেহরান। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন। এরপর বাপেরবাড়িতেই থাকতে শুরু করেন। দিন চারেক আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মেহরান। তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মেহরানের। পরিবারের তরফে রাজেশের বিরুদ্ধে সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।