Cooch Behar: জল্পেশ মন্দিরের পথে দুর্ঘটনা! জেনারেটরে শর্ট সার্কিট, মৃত ১০
যাত্রীবাহি একটি পিকআপ ভ্যান জল্পেশ যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থেকে জল্পেশ মন্দির যাওয়ার পথে চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। গাড়িতে চালকসহ মোট ৩৬ জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে পুলিসের তরফে। ঘটনার পরে সাত জন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যান এবং ঘটনাস্থলের কাছেই অপেক্ষা শুরু করেন বাড়ি ফেরার গাড়ির জন্য। সকাল হতেই দূর্ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সোমবার ভোরে আসতে শুরু করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্থদের আত্মীয় পরিজনরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ রাত ১২ টার নাগাদ, মেখলিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ধরলা সেতুতে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহি একটি পিকআপ ভ্যান জল্পেশ যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থেকে জল্পেশ মন্দির যাওয়ার পথে চ্যাংড়াবান্ধা এলাকায় ঘটে এই ঘটনা। পুন্যার্থীদের গাড়িতে জেনারেটর শর্ট সার্কিট থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আহতরা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পাশে রয়েছেন মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত বর্মা সহ অন্যান্য পুলিস কর্মীরা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে গাড়ির পিছনে লাগানো জেনারেটরের (ডিজে সিস্টেম) তারের কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আহতদের চ্যাংড়াবান্ধা বিপিএইচসিতে নিয়ে আসা হয়। উপস্থিত মেডিকেল অফিসার ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে রেফার করেছেন। তাদের ছোটখাটো আঘাত লাগলেও পুঙ্খানুপুঙ্খ চেক আপ প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও উপস্থিত মেডিকেল অফিসার দশ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
সকলেই শীতলকুচি থানা এলাকার বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারকে এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। যে গাড়িটিতে এই দুরঘতনা ঘটেছে সেটিকে আটক করা হলেও গাড়ির চালক পলাতক বলে জানানো হয়েছে।
পুলিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। পুলিস ত্রাণ এবং অন্যান্য সব সহায়তার জন্য কাজ শুরু করেছে। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে এই ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।
সকাল হতেই দূর্ঘটনায় আহতদের খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সোমবার ভোরে আসতে শুরু করেছেন দুর্ঘটনাগ্রস্থদের আত্মীয় পরিজনরা।
গাড়িতে চালকসহ মোট ৩৬ জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে পুলিসের তরফে। ঘটনার পরে সাত জন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যান এবং ঘটনাস্থলের কাছেই অপেক্ষা শুরু করেন বাড়ি ফেরার গাড়ির জন্য। রাজ্য হাইওয়ে ১৬-এর কাছে ব্রহ্মপুরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের।
আরও পড়ুন: Weather Today: রাজ্য জুরে ভারী বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ কলকাতায়
১৪ জনকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং এই আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে রয়েহেন আরও চার জন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিস আহতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং মেডিকেল অফিসারের মতামত অনুযায়ী তারা সবাই বিপদমুক্ত বলেও জানানো হয়েছে। গাড়ির চালক এখনও পলাতক রয়েছে এবং তাকে আটকের জন্য তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।