Local Train: অত্যধিক ভিড়! ট্রেন থেকে ছিটকে পড়লেন প্রৌঢ়, হাসপাতালে মৃত্যু
মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল ডানকুনিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কামরায় অত্যাধিক ভিড়! লোকাল ট্রেন (Local Train) থেকে ছিটকে পড়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। দুর্ঘটনা ঘটল হুগলির ডানকুনি (Dunkuni) ও বেলানগরের (Bela Nagar) স্টেশনের মাঝে।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চন্দন প্রচন্ড। বাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। দিন কয়েক আগে ডানকুনিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে সম্বন্ধ দেখতে এসেছিলেন তিনি। এদিন ফেরার কথা ছিল। সকালে ডানকুনি স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন চন্দন। গন্তব্য ছিল হাওড়া। সেখান থেকে খড়গপুর হয়ে চন্দ্রকোনা।
আরও পড়ুন: Khejuri: বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, মৃত ১, গুরুতর আহত ৩, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর
দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? মৃতের পরিবারের দাবি, লোকাল ট্রেনটিতে প্রচন্ড ভিড় ছিল। কোনওমতে কামরার গেটে কাছে পা রাখতে পেরেছিলেন চন্দন। শক্ত করে হাতল ধরে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শরীর ঝুলছিল কামরার বাইরে! ট্রেনটি তখন বেলানগর স্টেশনে ঢুকছে। ভিড় চাপে কোনওভাবে হাত ফসকে যায় চন্দনের। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়েন রেললাইনে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় জিআরপি। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান চন্দন প্রচন্ড।
আরও পড়ুন: Kharagpur Accident: 'বেআইনি পার্কিং'! খেলতে ব্যস্ত ৩ শিশুকে 'পিষে মারল' পিক-আপ ভ্যান
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে ফের একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। এই যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিলই। গতকাল, সোমবার অফিস থেকে ফেরার পথে ট্রেন না পেয়ে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে তাঁদের। তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় হাওড়া ও বিধাননগর স্টেশনে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়, সন্ধে ৭ নয়, রাত ১০ পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। বস্তুত, গতকাল, সোমবার থেকে সেই নির্দেশ কার্যকরও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ৫০ শতাংশ নয়, বরং ভিড় ঠাসা ট্রেনে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে এখনও। তারমধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।