জীবিত বা মৃত, একবার ওকে এনে দেও! অনর্গল বলে চলেছেন স্ত্রী

সোমবার ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে স্বামীর অপেক্ষায় হাসপাতালে হত্যে দিয়েছেন এই মহিলা। স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল সোমবার ভোরে। বাসে ওঠার পর শেষবার স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি বাসে উঠে পড়েছি, চিন্তা করো না।‘ তখনও জানা ছিল না কী হতে চলেছে তাঁর স্বামীর সঙ্গে! দুঃস্বপ্নেও অবশ্য সেকথা কি কেউ ভাবে? 

Updated By: Jan 30, 2018, 12:42 PM IST
জীবিত বা মৃত, একবার ওকে এনে দেও! অনর্গল বলে চলেছেন স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন:   উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা, ডুকরে বেরিয়ে আসা কান্না, গলার কাছে জমাট বাঁধা কষ্ট- মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বাইরে মঙ্গলবার বেলায় দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনহারাদের মানসিক অবস্থাটা বোঝাতে গেলে শব্দসঙ্কট দেখা দেয়।  
বিবর্ণ, ফ্যাকাশা চেহারাগুলোই বলে দিচ্ছে স্বজনহারাদের মনের অবস্থা। প্রিয়জনের দেহটাকে শেষ বার দেখার অপেক্ষায় প্রতিটা মুহূর্ত যেন এক একটা যুগ। কেউ বাবাকে হারিয়েছেন, কেউবা স্বামীর খোঁজ পাচ্ছেন না- মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে থমথমে পরিবেশে মাঝমধ্যেই চিড় ধরাচ্ছে কান্নার রোল। 

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনার আসল কারণ কী? ২৪ ঘণ্টাকে চাঞ্চল্যকর বয়ান জীবিত যাত্রীদের
সোমবার ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে স্বামীর অপেক্ষায় হাসপাতালে হত্যে দিয়েছেন এই মহিলা। স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল সোমবার ভোরে। বাসে ওঠার পর শেষবার স্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ‘আমি বাসে উঠে পড়েছি, চিন্তা করো না।‘ তখনও জানা ছিল না কী হতে চলেছে তাঁর স্বামীর সঙ্গে! দুঃস্বপ্নেও অবশ্য সেকথা কি কেউ ভাবে? 

আরও পড়ুন: বাসের জানলায় মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন, আর চোখ খোলা হল না!
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা। আত্মীয়ের কাছ থেকে খবরটা শোনার পর টিভি খুলেছিলেন তিনি। তারপরই গোটা পৃথিবীটা যেন এক নিমেষে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল তাঁর কাছে। দুর্ঘটনার খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন ভৈরবের পারে। কিন্তু না, সোমবার রাত পর্যন্তও কোনও খবর পাননি স্বামীর। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই আবার ছুটে যান। খোঁজ পাননি স্বামীর, এরপর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। সেখানেও স্বামীকে চোখের দেখা দেখতে পেলেন না তিনি। হয়তো চরম পরিণতির কথা মেনে নিয়েছে তাঁর মন, কিন্তু তাস্বত্ত্বেও জীবিত হোক কিংবা মৃত, স্বামীকে একবার চোখের দেখা দেখতে চান তিনি। 

শুধু মেডিক্যাল কলেজ নয়, ভৈরবের মৃত্যুমিছিলে হাহাকার দুপারেও। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ। স্বজনহারাদের কান্নার আওয়াজ ছাপিয়ে যাচ্ছে দু'কূলের স্তব্ধতাকে।  

.