সুখের সংসারে কাঁটা সোনার চেন, না পাওয়ায় স্ত্রীকে খুন!

নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গোপালনগরের বাসিন্দা চন্দ্রাবলী মণ্ডলের সঙ্গে  বছর খানেক আগে বিয়ে হয় সোনারপুরের হরপুরের বাসিন্দা অসীম দেবনাথের। 

Updated By: Nov 15, 2018, 11:54 AM IST
সুখের সংসারে কাঁটা সোনার চেন, না পাওয়ায় স্ত্রীকে খুন!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘটকই সম্বন্ধ দেখে দিয়েছিলেন। একে অপরকে দেখার পর  বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাত্র পাত্রী। বিয়ের আগেও বেশ কয়েকবার দেখা করেন তাঁরা। প্রথমে কিছু না বললেও বিয়ের ঠিক কয়েকদিন আগেই ৩০ হাজার টাকা ও মেয়েকে ‘সাজিয়ে গুছিয়ে’ পাঠানোর কথা বলে  পাত্রপক্ষ।  বিয়ের মুখে তাতে রাজিও হয়ে যায় পাত্রীর পরিবার।  ৩০ হাজার  নগদ টাকা,  সোনার গয়না,  ছেলের হাতের আংটি, খাট-বিছানা, আলমারি, সেলাই মেশিন, বাসনপত্র, মোবাইল ফোন, গ্যাসওভেন-মেয়ের যাতে শ্বশুরবাড়িতে কোনও সমস্যা না হয়, যথাসাধ্য দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়। কিন্তু তারপরও ‘সুখ’সইল না সেই মেয়ের কপালে। কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সোনার হার!  শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার হার চেয়ে না পেয়ে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল পাত্র ও তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে।

আরও পড়ুন: বাংলার ক্ষেত্রে নাম বদলের বিষয়টি ঝুলে কেন, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর!

নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গোপালনগরের বাসিন্দা চন্দ্রাবলী মণ্ডলের সঙ্গে  বছর খানেক আগে বিয়ে হয় সোনারপুরের হরপুরের বাসিন্দা অসীম দেবনাথের। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই চন্দ্রাবলীর ওপর অত্যাচার শুরু করেন অসীম। সংসারের নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে চন্দ্রাবলীকে মারধর করা হত। পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি জামাইকে বিয়ের সময়ই সোনার আংটি দিয়েছিল চন্দ্রাবলীর পরিবার। কিন্তু তাতে ছেলের মন ভোলেনি। সোনার আংটির পর সোনার হার দাবি করেছিলেন অসীম। কালীপুজোয় সোনার চেন পড়ে ঘুরবেন বলে চন্দ্রাবলীকে বাপের বাড়ি থেকে তা নিয়ে আসতে চাপ দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন: বর কাজে যাওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাথরুমে যান মহিলা, তারপর তাদের যে অবস্থায় দেখলেন প্রতিবেশীরা...

কালীপুজোর আগেই বাপেরবাড়ি চলে যান চন্দ্রবলী। এদিকে সোনার হার না পাওয়ায় নরেন্দ্রপুরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হন অসীম।  চন্দ্রাবলীকে জোর করে সোনারপুরের বাড়িতে নিয়ে যান। অভিযোগ, ভাইফোঁটার পরেরদিন তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন অসীম। তাঁকে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর অসুস্থ চন্দ্রাবলীকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করান। চন্দ্রাবলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে এনআরএসে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় চন্দ্রাবলীর। চিকিত্সকদের কাছ থেকে সেকথা জানতে পেরেই হাসপাতাল থেকে চম্পট দেন অসীম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শুধু তাই নয়, হাসপাতালেও ভুল নাম ও ঠিকানা দেয় তাঁরা। পরে বাপেরবাড়ির সদস্যরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরে বুধবার  চন্দ্রাবলীর দেহ বাড়িতে নিয়ে যান। নরেন্দ্রপুর থানায় অসীম ও তাঁর বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

.