হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, নিষ্ক্রিয় পুলিস, জনরোষ আছড়ে পড়ল অভিযুক্তের বাড়িতে
বাবা জানিয়েছেন, “ মেয়ে ঘরের লাগোয়া বাথরুমে গিয়েছিল। আমি জেগে ছিলাম। দেরি হচ্ছে দেখে বাইরে যাই। গিয়ে দেখি মুখে প্যান্ট চাপা দিয়ে আমার মেয়েকে দুজন মিলে ধর্ষণ করছে। আমি চিৎকার করতেই ওরা পালিয়ে যায়।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাবালিকাকে গণধর্ষণ, মূল অভিযুক্ত অধরা, পুলিস নির্বিকার, আগুনে ঘি পড়ার মত ঘটনা ঘটল নদিয়ার হাঁসখালিতে। জনরোষে পুড়ল অভিযুক্তর বাড়ি। উত্তেজনা ঠেকাতে এলাকায় পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৯ অগস্ট রাত ১২ টা নাগাদ এক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ঘরের বাইরে বাথরুমে যায়। অভিযোগ সেই সময় প্রতিবেশী যুবক মঙ্গল মন্ডল এবং ৪২ বছরের বৈদ্যনাথ বিশ্বাস ওই নাবালিকাকে একা পেয়ে বলপূর্বক ধর্ষণ করে।
নির্যাতিতা জানিয়েছে, রাথরুম থেকে ফেরার পথে আচমকা বৈদনাথ তাকে জাপটে ধরে। তাঁদের কাছে গামছা ছিল । সেই গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। আর মুখ চেপে ধরে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। বাবা জানিয়েছেন, “ মেয়ে ঘরের লাগোয়া বাথরুমে গিয়েছিল। আমি জেগে ছিলাম। দেরি হচ্ছে দেখে বাইরে যাই। গিয়ে দেখি মুখে প্যান্ট চাপা দিয়ে আমার মেয়েকে দুজন মিলে ধর্ষণ করছে। আমি চিৎকার করতেই ওরা পালিয়ে যায়।"
নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মঙ্গল মন্ডলকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত বৈদ্যনাথ পলাতক। এদিকে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষায় গণধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এই খবর গ্রামে পৌঁছনোর পর দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে জনরোষ। প্রায় পাঁচদিন হয়ে গেল এখনও বৈদ্যনাথ ধরা না পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসীরা।
পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার রাতে মূল অভিযুক্ত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা। পরে আগুন ধরিয়ে দেয় । পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত বিশ্বাস সরাসরি পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন , টাকা খেয়ে পুলিস ঘটনা চাপা দিতে চাইছে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মূল অভিযুক্ত বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের খোঁজে চিরুণী তল্লাশি চালাচ্ছে হাঁসখালি থানার পুলিস।
আরও পড়ুন: বারোঘণ্টা পার, বাড়িতেই পড়ে করোনা আক্রান্ত প্রাক্তন পুলিসকর্মীর মৃতদেহ