আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলার 'শাস্তি', প্রেমিকের হাতে খুন প্রেমিকার ৭ বছরের সন্তান!
দাদু ঠাকুমার সঙ্গে রাতে শুয়েছিল শশাঙ্কের সাত বছরের মেয়ে। রাতের আঁধারে ঘরে ঢোকে ঝাড়ু মাহাত। ধারাল অস্ত্র দিয়ে শশাঙ্কের সাত বছরের মেয়ের গলা কেটে পালায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেমে বাধা সন্তান। প্রেমিকার সন্তানকে কুপিয়ে খুন করল প্রেমিক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, খুন করে পালাবার সময় সিভিক ভলেনটিয়ার ধরে ফেলে প্রেমিক। নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়ার কেঁদায়।
পুরুলিয়ার কেঁদা এলাকা। এখানকার কণা পাড়ার বাসিন্দা শশাঙ্ক মহাত কাজের সূত্রে গুজরাটে থাকেন। বাড়িতে বাবা, মা ভাইয়ের সঙ্গে থাকত শশাঙ্কের স্ত্রী, কন্যা। অভিযোগ, স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর বন্ধু ঝাড়ু মাহাতর সঙ্গে বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন শশাঙ্কের স্ত্রী মিলনি। আর তার জেরেই এই খুন।
দাদু ঠাকুমার সঙ্গে রাতে শুয়েছিল শশাঙ্কের সাত বছরের মেয়ে। রাতের আঁধারে ঘরে ঢোকে ঝাড়ু মাহাত। ধারাল অস্ত্র দিয়ে শশাঙ্কের সাত বছরের মেয়ের গলা কেটে পালায়। ঝাড়ু মাহাত পালাবার সময় জেগে যায় শিশুটির দাদু ঠাকুমা। তাঁদের চিত্কারেই ঝাড়ুকে ধরে ফেলেন পাড়ার সিভিক ভলেন্টিয়াররা।
অভিযোগ, মিলনির সঙ্গে ঝাড়ু মহাতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে সাত বছরের শিশু। তার পরেই ঘর ছেড়ে চলে যায় মিলনি। তার দিন পঁচিশেক পরেই মিলনির প্রেমিক ঝাড়ু মহাত গলা কেটে খুন করে শশাঙ্ক মিলনির সন্তানকে। ধৃত ঝাড়ু মহাতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন- মেয়ের মৃত্যুর পর দিঘায় যান মা-ছেলে, মহিলা চিকিত্সকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নয়া মোড়