ক্যানিং-এ বোমাবাজির ২৪ ঘণ্টা পার, আজও থমথমে এলাকা, আতঙ্কে বাসিন্দারা
এলাকায় সমস্ত বাজার শুনশান। দোকানপাটও বন্ধ। গতকালের ঘটনার পর আতঙ্কেই দিন কাটছে সাধারণের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্যানিং গোলাবাড়ি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পর আজ সকাল থেকে এলাকা থমথমে এলাকা। পরিস্থিতি নজরে রাখতে চলছে পুলিসের টহলদারি। এলাকায় সমস্ত বাজার শুনশান। দোকানপাটও বন্ধ। গতকালের ঘটনার পর আতঙ্কেই দিন কাটছে সাধারণের।
গতকাল দুপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্য়ানিং। গোলাবাড়ি এলাকায় চলতে থাকে গুলি-বোমা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে গুলিতে গুরুতর আহত হন একাধিক পুলিস কর্মী। প্রায় ১৫ জন তৃণমল কর্মী আহত হন। তালিকায় রয়েছে মহিলাও। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিসবাহিনী। তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এখনও পরিস্থিতি থমথমে।
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপ স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে ভয়ঙ্কর আগুন, পুড়ে ছাই বহু ঝুপড়ি
ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, এরা দলের কেউ নয়। এরা দুষ্কৃতি। হামাশাই দল বদল করে থাকেন। সব মিলিয়ে ঘটনার দায় এড়িয়ে যান তাঁরা। ঘটনায়, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে কোথা থেকে এত অস্ত্র এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস তল্লাসি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির কারণেই উত্তেজনা ছড়ায়। সকাল থেকেই পরিস্থিতি থমথমে চিল। এরপর বেলা বাড়তে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। শুরু হয় দফায় দফায় গোলা বর্ষণ।