রসগোল্লার আঁতুড়ঘরে পৌঁছল ২৪ ঘণ্টা
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়
আড়াই বছরের লড়াই শেষে মঙ্গলবারই জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে রসগোল্লা। রসগোল্লার উত্স বাংলাতেই বলে ঘোষণা করেছে স্বীকৃতি প্রদানকারী সংস্থা। সেদিনই রসগোল্লার আঁতুড়ঘরে পৌঁছে গেল ২৪ ঘণ্টা। কোথায় জন্ম হয়েছিল বাঙালির প্রিয়তম এই মিষ্টির? পণ্ডিতদের একাংশের দাবি, খাস কলকাতাতেই।
উত্তর কলকাতার বাগবাজারের নবীন দাসকে রসগোল্লার কলম্বাস বললে ভুল হয় না। কেমন করে রসগোল্লার খোঁজ পেলেন তিনি? কেমন করে তৈরি হল মন ভাল করে দেওয়া সাদা তুলতুলে এই মিষ্টি? স্বীকৃতির দিনে সেই ইতিহাসকেই একবার ফিরে দেখা।
আরও পড়ুন - যত কথা হচ্ছে, ডেঙ্গি দমন নিয়ে তত কাজ হচ্ছে কই? প্রশ্ন মেটিয়াবুরুজের
১৮৬৮ সালে রস সাগরে যাত্রা শুরু। শেষে ম্যাজিক মন্ত্রটা পেয়েই গেলেন নবীন দাস। তার পর বাকিটা ইতিহাস। যার পাতায় পাতায় রয়েছে খাদ্য রসিকদের তৃপ্তির কাহিনী। এই সাগরের স্বাদ নেননি, এমন বাঙালি পাওয়া দায়। স্বয়ং রবীন্দ্র নাথ, বিবেকানন্দ, রসগোল্লা ভবনে আসতেন স্বাদ চাখতে।
রসগোল্লা প্রেমীদের কথায়, বাগবাজারের রসগোল্লা ভবন ইট-কাঠ-পাথরের বাড়ি নয়, এ হল মিষ্টির বাড়ি। এ হল দুনিয়ার অন্যতম সেরা মিষ্টির সৃষ্টিক্ষেত্র। খাদ্য রসিকদের তীর্থভূমি।