রায়গঞ্জে টানা দু-রাত চলল চটুল নাচের আসর, তীব্র আওয়াজে জেরবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

রাত ১২ টা থেকে আসর শুরু হয়ে তা শেষ হয় ভোর ৪টে।

Updated By: Feb 21, 2020, 05:50 PM IST
রায়গঞ্জে টানা দু-রাত চলল চটুল নাচের আসর, তীব্র আওয়াজে জেরবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল। মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে সারারাতব্যাপী নাচের আসর। পরপর দুদিন শব্দতাণ্ডবে অতিষ্ঠ রায়গঞ্জের ভিটি কাটিহার গ্রামের বাসিন্দারা। অসহায় পরীক্ষার্থী বলছে, জলসার ঠেলায় সারা রাত ঘুম হয়নি তার। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, পরীক্ষার মরশুমে প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে কোনও সভা বা অনুষ্ঠান করা যাবে না। কিন্তু রায়গঞ্জের মাড়াইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটি কাটিহার গ্রামের ছবিটা একেবােরেই অন্যরকম। 

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা কার্যত উড়িয়েই চটুল নাচের আসর চলল সারারাত। আসর শুরু হয় রাত ১২ টায়, তা শেষ হয় ভোর ৪ টায়। রায়গঞ্জ থানার মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটি কাটিহার গ্রামের ঘটনা। মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিন যাবদ সারা রাত্রি ডি জে বাজিয়ে চলল চটুল নাচের আসর। জানা গিয়েছে টিকিটের দাম করা হয়েছিল ৪০ টাকা। 

আরও পড়ুন: শিবরাত্রির দিন দুই জেলায় জোড়া পথ দুর্ঘটনা, মৃত্যু ৮ জনের

অভিযোগ, দু-দিন সারা রাত ধরে চলে এই চটুল নাঁচ। মাইকের আওয়াজে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কার্যত শিকেয় ওঠে পড়াশুনা।  ডিজের আওয়াজে  চরম সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষও। পাশাপাশি স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুলিসের ১০০ নম্বরে ডায়াল করেও পুলিসের পক্ষ থেকে কোনওরকম পদক্ষেপ করা হয়নি। রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস ঘোষ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। যাঁরা এই আসর বসিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেবার জন্য রায়গঞ্জ থানার আই সি কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বেশি দামে দুধ কিনে নিচ্ছে আমুল, ক্ষতির মুখে রাজ্যের মাদার ডেয়ারি

অন্যদিকে রায়গঞ্জ জেলার পুলিস সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনও অভিযোগ তাদের কাছে জমা পরে পড়েনি, তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তাঁরা। যদিও গ্রামবাসীদের কাছে ওই উদোক্তাদের খোঁজ করলেও গ্রামের এক প্রান্তের গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন উদোক্তারা গ্রামের অন্য প্রান্তে থাকেন, আবার অন্য প্রান্তে গেলে সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক উলটো দিকে উদোক্তাদের বাড়ী বলে দাবি করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে গ্রামবাসীরা উদোক্তাদের চেনেন না নাকি চিনতে ভয় পাচ্ছেন?

.