Wriddhiman Saha, Ranji Trophy 2022: সম্পর্কে ইতি! অভিমানে বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি
বুধবার বিকেলের দিকে শহর ছাড়ে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। দলের সঙ্গে চলতি আইপিএল-এর (IPL 2022) ফাইনাল খেলার জন্য আহমেদাবাদ উড়ে যাওয়ার আগে বঙ্গব্রিগেডের (Bengal) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে ((WhatsApp group) বিদায় জানিয়ে দেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থা (CAB) ও ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) বিতর্ক এ বার আরও বড় আকার ধারণ করল। শেষ পর্যন্ত অভিমানে বাংলা দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp group) ছেড়ে দিলেন এই তারকা উইকেট কিপার। ঋদ্ধি এই পদক্ষেপ নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি ভবিষ্যতে বাংলার জার্সি গায়ে চাপিয়ে আর মাঠে নামতে রাজি নন। যদিও ঋদ্ধি কিংবা তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এমনকি সিএবি কর্তারাও এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়।
বুধবার বিকেলের দিকে শহর ছাড়ে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans)। দলের সঙ্গে চলতি আইপিএল-এর (IPL 2022) ফাইনাল খেলার জন্য আহমেদাবাদ উড়ে যাওয়ার আগে বঙ্গব্রিগেডের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে বিদায় জানিয়ে দেন পাপালি। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বিমান ধরার আগে অভিমন্য ইশ্বরণের দলকে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে, এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঋদ্ধি। ২৭ মে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে বেঙ্গালুরু উড়ে যাচ্ছে বাংলা (Bengal) শিবির। শোনা গেল, ঋদ্ধির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে সিএবি-র তরফ থেকে অনুরোধও করা হবে না।
রঞ্জি নক আউট পর্বের দল নির্বাচনের আগে মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) সঙ্গে কথা বলে সিএবি। তাঁকে শর্তসাপেক্ষে টিমে রেখেও দেওয়া হয়। কিন্তু ঋদ্ধির সঙ্গে কথাই বলেননি শীর্ষ কর্তারা। সরসারি দলে রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। এর আগে রঞ্জির গ্রুপ পর্বেও ঋদ্ধির না খেলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
সেই সময় বাংলার উইকেট কিপার জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য তিনি খেলতে পারবেন না। এরপরেই বাংলা দলের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অন্যতম যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। সেই অপমান হজম করতে না পেরেই এত বড় পদক্ষেপ নিলেন ঋদ্ধি।
যদিও নক-আউট পর্বের দল ঘোষণা হওয়ার পর ঋদ্ধি বিতর্কে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমে পড়ে বঙ্গীয় ক্রিকেট সংস্থা। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে (Avishek Dalmiya) ফোন করে ক্ষুব্ধ ঋদ্ধি জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর বাংলার হয়ে খেলতে চান না। ফোনেই ছাড়পত্র চেয়ে বসেন। তার পরেও অবশ্য হাল ছাড়েনি সিএবি। ঋদ্ধিকে বোঝানোর জন্য আসরে নামেন হেড কোচ অরুণ লালও (Arun Lal)। সিএবি কর্তারা ভাল করেই জানতেন ঋদ্ধি বাংলা ছেড়ে চলে গেলে তাতে সংস্থার অস্বস্তি বাড়বে। নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য ঋদ্ধিকে অনুরোধ করেছিলেন অরুণ লাল। কিন্তু এতে লাভ হয়নি।
ঋদ্ধি নিজের স্টান্সেই অনড় থেকে যান। এবং শেষ পর্যন্ত বাংলা ক্রিকেট দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে দেবব্রত দাস প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাঁর পক্ষে বাংলার হয়ে মাঠে নামা সম্ভব নয়। অন্যদিকে সিএবি কর্তারাও নিজেদের ‘ইগো’-কেই বড় করে দেখছেন। ফলে সমস্যা মিটে যাওয়া তো অনেক দূরের কথা। এই বিতর্ক অন্যমাত্রা পেয়ে গেল।
২৯ জুন আইপিএল-এর মেগা ফাইনাল। সেই ম্যাচ খেলার পর শহরে ফিরবেন ঋদ্ধি। তারপর সিএবি-তে গিয়ে সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার সঙ্গে কথা বলে বাংলা দলকে সরকারি ভাবে বিদায় জানাতে পারেন বঙ্গ ক্রিকেটের নীরব যোদ্ধা।
আরও পড়ুন: Rajat Patidar: দেখে নিন আইপিএল প্লে-অফে রজত ছাড়াও আর কারা হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি