টসহীন টেস্ট ক্রিকেট প্রসঙ্গে কী বলছেন প্রাক্তনরা!
বিশ্ব ক্রিকেটে টস-ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : টেস্ট থেকে টস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে এখনও সিলমোহর দেয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। তবে চলতি মাসের শেষে মুম্বইয়ে আইসিসির সভায় আলোচনার মূখ্য বিষয় হতে চলেছে টস। বিশ্ব ক্রিকেটে তাই টস-ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন দুই অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও স্টিভ ওয়া আইসিসির এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, বহু পুরনো এই প্রথা বদলে এবার নতুন কিছু ভাবলে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে উত্সাহ বাড়বে।
আরও পড়ুন- জিম্বাবোয়ের কোচ হলেন লালচাঁদ রাজপুত
আইসিসির যুক্তি, টসে জিতলে আয়োজক দল অ্যাডভান্টেজ পায়। এক্ষেত্রে আয়োজক দলের তৈরি উইকেট অনেক সময় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। কিন্তু ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার এই যুক্তিতে সায় দিচ্ছে না এশিয়ার অনেক প্রাক্তন। বিষেণ সিং বেদি যেমন বলছেন, 'টস প্রথা টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম দিন থেকে চলে আসছে। দুম করে একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা একটা প্রথা তুলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না।'
বেদির একসময়কার সতীর্থ দিলীপ বেঙ্গসরকার আবার আইসিসির উইকেট-তত্ত্ব মানছেন না। তাঁর যুক্তি, 'হোম টিম নিজেদের মতো উইকেট বানিয়ে অ্যাডভান্টেজ নেয় মেনে নিলাম। কিন্তু আইসিসির এলিট প্যানেলে অনেক ভাল ভাল অ্যাম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি রয়েছেন। প্রয়োজন হলে তাঁদের উইকেট তদারকির দায়িত্বে রাখা যেতে পারে। সব থেকে ভাল হয় আইসিসি যদি উইকেট তৈরির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ কিউরেটর ব্যবহার করে। টস তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কখনওই হোম টিমের অ্যাডভান্টেজ কমানোর দাওয়াই হতে পারে না। টস ক্রিকেটের একটা বিশেষ আকর্ষণ। সেটা না থাকলে ক্রিকেট তার নিজস্বতা হারাতে পারে।'
আরও পড়ুন- এখনই দাড়ি কাটছেন না বিরাট!
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আসিফ ইকবাল টসের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'যে দলটা ম্যাচ আয়োজন করে তারাই তো আবার অন্য কোনও দেশের আয়োজনে ম্যাচ খেলতে যায়। তা হলে হোম অ্যাডভান্টেজ ব্যাপারটা সবার কাছেই ঘুরে ফিরে আসছে। আর বিশ্বের এক নম্বর টিম হতে হলে যে কোনও দলকে যে কোনও পরিস্থিতিতে জিততে হবে। এটাই তো ক্রিকেটের মজা।'
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার আইসিসির সভায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে টস তুলে দেওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। কিন্তু চরম বিরোধিতার মুখে পড়ে আইসিসিকে শেষমেশ পিছু হঠতে হয়েছে।