Wrestler's Protest at Jantar Mantar: কুস্তি সংস্থার প্রধানকে করতেই হবে গ্রেফতার! এবার সুপ্রিম কোর্টে ভিনেশ-সাক্ষীরা
Top wrestlers move SC seeking FIR against WFI chief: দিল্লি পুলিসকে বারবার জানিয়েও হয়নি লাভ। জাতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। এবার ভিনেশরা গেলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিন মাস পর ফের দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat) ও সাক্ষী মালিকের (Sakshi Malik) মতো ভারতের (India) একাধিক নামী কুস্তিগিররা। তাঁদের দাবি একটাই। গ্রেফতার করতে হবে জাতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে। (Brij Bhushan Sharan)। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন দেশের একাধিক কুস্তিগিররা। তাঁদের তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক কিংবদন্তি বক্সার মেরি কমের (Mary Kom) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ে গত মাসে। মেরি কমের কমিটি জানিয়ে দেয় যে, ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গত রবিবার থেকে ভিনেশ-সাক্ষীরা যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের অভিযোগের তীর দিল্লি পুলিসের বিরুদ্ধে। কারণ দেশের রাজধানীর পুলিস যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েও কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। বারাবার বলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি দিল্লি পুলিস। এবার ভিনেশরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানে গিয়ে এফআইআর নিবন্ধনের আবেদন করেছেন তাঁরা।
এক অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ কুস্তিগীরদের পক্ষে ৩২ ধারার অধীনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে ডব্লিউএফআই প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে, আবেদনে বলা হয়েছে। পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে যে ডব্লিউএফআই সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে। এমনকি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে শুধুই যৌন হেনস্থা নয়, পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনেও অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যৌন হেনস্থা এবং মৃত্যুর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ব্রিজ ভূষণের শাস্তি এবং ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রশাসনের পরিবর্তন দাবি জানিয়ে নতুন দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ভিনেশ-সাক্ষীর মতো দেশের প্রথম সারির কুস্তিগীররা। সেই অবস্থান বিক্ষোভে তাঁরা দাবি করেছিলেন, ফেডারেশন কর্তারা মহিলা কুস্তিগীরের সঙ্গে অশ্লীল ব্যবহার করেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ করার জন্য ভিনেশ ফোগাটকে নাকি খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন ব্রিজ ভূষণ!। সেই হুমকির জন্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার কথাও নাকি ভেবেছিলেন ভিনেশ। একাধিক কুস্তিগীরের প্রতিবাদের জন্য কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক গত ২৩ জানুয়ারি মেরি কমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। পরে কুস্তিগীরদের দাবিতে এই কমিটিতে ববিতা ফোগাটকে ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই কমিটিকে বলা হয়েছিল এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে। পরে আরও দুই সপ্তাহের সময়সীমা বাড়ানো হয়। সেই রিপোর্ট ব্রিজ ভূষণকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়নি।