ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্নভঙ্গ করে অবসর সচিনের

স্বপ্নভঙ্গ! হ্যাঁ,সত্যি স্বপ্নভঙ্গই হল ক্রিকেটপ্রেমী আপামর জনতার। তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা চলছিল প্রতিদিনই। মিডিয়া থেকে ক্রিকেট সমালোচক, তাঁদের প্রতিদিনই একটাই মুখরোচক বিষয়। কিছুটা হলেও আজ তাঁদের জয় হল। আর যারা শুধু ক্রিকেটকে ভালবেসে, ক্রিকেট খেলাটাই দেখেন তাঁরা হেরে গেলেন। তাঁরা স্তম্ভিত হলেন। ক্রিকেটের ভগবানকে টেস্টে খেলায় দেখতে পেলেও তিনি যে জানান দিয়ে গেলেন এবার যেতে হবে, সময় হয়ে এসেছে।

Updated By: Dec 23, 2012, 11:20 PM IST

সোমনাথ মিত্র
স্বপ্নভঙ্গ! হ্যাঁ,সত্যি স্বপ্নভঙ্গই হল ক্রিকেটপ্রেমী আপামর জনতার। তাঁর অবসর নিয়ে জল্পনা চলছিল প্রতিদিনই। মিডিয়া থেকে ক্রিকেট সমালোচক, তাঁদের প্রতিদিনই একটাই মুখরোচক বিষয়। কিছুটা হলেও আজ তাঁদের জয় হল। আর যারা শুধু ক্রিকেটকে ভালবেসে, ক্রিকেট খেলাটাই দেখেন তাঁরা হেরে গেলেন। তাঁরা স্তম্ভিত হলেন। ক্রিকেটের ভগবানকে টেস্টে খেলায় দেখতে পেলেও তিনি যে জানান দিয়ে গেলেন এবার যেতে হবে, সময় হয়ে এসেছে।
কিছুদিন আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে সচিন জানিয়েছিলেন, ২০১৫ বিশ্বকাপ তিনি খেলতে চান। যতদিন তাঁর মন, শরীর সাথ দেবে, ততদিন ক্রিজে ভারতের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।  তবে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন লিটল মাস্টার? একদিনের ক্রিকেটে তিনি শেষ খেলা খেলেছিলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সফরে তাঁর শততম শতরান তাঁকে আরও উৎসাহ জুগিয়েছিল অনেকদূর পথ চলতে। তারপর দশ দশটি টেস্ট খেলেছেন। কখনো নিউজিল্যান্ড, কখনো ইংল্যান্ড এই দীর্ঘ দশমাসে তাঁর স্কোরবোর্ডে একটি মাত্র অর্ধশতরান। এর মধ্যে তিনি পাঁচবার বোল্ড হয়েছেন। তাঁর ফুটওয়ার্ক নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বারবার। এমত অবস্থায় এক দিনের ক্রিকেট থেকে সরে আসাটাই হয়ত ভাল মনে করেছেন। তবে একথা তো ঠিক, তিনিই একমাত্র জানেন কখন দড়ি আলগা করতে হবে।
একদিনের ক্রিকেট জীবনের তাঁর শুরুটা ঠিক এই ডিসেম্বর মাসেই হয়েছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, সালটা ১৯৮৯। তাঁর এই দীর্ঘ ২৩ বছরের কেরিয়ারে কী নেই? একদিনের ক্রিকেটে প্রথম দ্বিশতরান। সর্বাধিক শতরান। সঙ্গে ৫০ওভারের ফর্মাটে সর্বাধিক রান। সবকিছু মিলিয়ে তাঁর গোটা কেরিয়ারটাই একটা দৃষ্টান্ত। ক্রিকেট পৃথিবীতে যে সমস্ত সীমা তিনি তৈরি করে গেছেন তা ছোঁয়াতো দুরস্থান, কাছাকাছি যেতেই হয়ত পেরিয়ে যাবে কয়েক শতক। তাঁর এই দীর্ঘ চলার পথে শেষ ইচ্ছা ছিল বিশ্বকাপ জয়। সেই স্বাদও তিনি পূরণ করেছেন। আর  সবটুকু মিলিয়ে রেখে গেলেন এমন এক সিন্দুক, যার ধন আরহণ করে সমৃদ্ধ হবে পরবর্তী সব ক্রিকেটীয় প্রজন্ম।
 

.