ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র টিমে সুযোগ পেয়েছিল! পড়াশোনা নিয়ে 'বকাবকিতে'ই কি আত্মঘাতী কিশোর?
ইস্টবেঙ্গল জুনিয়ার টিমে সুযোগ পেয়েছিল। নতুন জার্সি কেনা নিয়ে পরিকল্পনাও চলছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট থেকেই ফুটবল পাগল। খেলা ছাড়া থাকতে পারত না। ফুচবল ঘিরেই ছিল যত স্বপ্ন। সদ্য ইস্টবেঙ্গল জুনিয়র টিমে সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন! আত্মঘাতী হল কিশোর। ঘর থেকে উদ্ধার হল নাবালকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম রোহন রায়। বয়স ১৩ বছর। পড়াশোনা নিয়ে বকাবকির জেরেই ওই কিশোর আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
নাকতলার ৪/৮৩E, বিদ্যাসাগর কলোনির বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হয় রোহন রায়ের ঝুলন্ত দেহ। কিন্তু হঠাৎ কেন আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিল নাবালক? প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস জানতে পেরেছে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার পরীক্ষা ছিল রোহনের। পরীক্ষা থাকলেও গতকাল মঙ্গলবার বিকালে খেলতে গিয়েছিল। সন্ধ্যা ৭টা অবধি বাড়ির বাইরেই ছিল রোহন। খেলে বাড়ি ফেরার পর রোহনের মা পড়তে বসতে বলে তাকে। খানিক 'বকাবকি' করে। মায়ের কাছে 'বকা' খাওয়ার পর টাকা নিয়ে দোকানে যায়। কেক, বিস্কুট, চিপস কিনে এনে খায়। খেয়ে দোতলায় নিজের ঘরে গিয়ে পড়তে বসে। আর তারপরই এমন ঘটনা।
পুলিস মনে করছে, 'বকাবকি' করাতেই সম্ভবত অভিমান হয়েছিল রোহনের। আর সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে। যদিও বাড়ির লোকের বক্তব্য, কোনও 'বকাবকি' করা হয়নি। শুধু পড়তে বসতে বলা হয়েছিল। বাড়ির লোক আরও দাবি করেছে, ফুটবল খেলা নিয়ে কেউ কখনও কোনও বারণ করেনি। রোহনের বাবাও ফুটবল ভালোবাসে। তাই ছেলের ফুটবল খেলার নেশায় সম্মতিও ছিল তাঁর। সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গল জুনিয়ার টিমে সুযোগ পেয়েছিল। সেজন্য যথেষ্ট গর্ব ছিল বাড়ির লোকের। নতুন জার্সি কেনা নিয়ে পরিকল্পনাও চলছিল। মা খেলতে বারণ করেনি, শুধু পরীক্ষা থাকায় কাল তাড়াতাড়ি পড়তে বসতে বলেছিল।
আরও পড়ুন, 'রেস্তরাঁয় খাওয়া থেকে সিনেমা দেখা, প্রেম করতে খরচা অনেক,' পুলিস সেজে তোলাবাজি যুগলের!
আরও পড়ুন, ভাড়ায় ব্যাপক ছাড়! বড়দিনে পর্যটকদের দিঘা যাওয়ার সুবিধার্থে দারুণ অফার ঘোষণা রেলের
রোহনের শিক্ষিকাও জানিয়েছেন, "পড়াশোনায় বেশ ভালোই ছিল রোহন। শুধু খেলাধুলাতে একটু বেশি নজর দিত।" পুলিশ সূত্রের খবর, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিস। শুধু কি পড়াশোনা নিয়ে বকাবকিতেই আত্মঘাতী কিশোর? নাকি এই সিদ্ধান্তের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, আত্মহত্যার কারণ খুঁজতে রোহনের বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিস।