রিষড়ার সাঁতারুর পাশে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী, কঠোর শাস্তির মুখে অভিযুক্ত কোচ সুরজিত্ গাঙ্গুলি
কোনওভাবেই যেন এমন দু্ষ্কর্ম করার পর রেহাই না পান কোচ সুরজিত, আর্জি সেরকমই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এমন এক ভিডিয়ো দেখার পর রাগে, ক্ষোভে, ঘেন্নায় আপনারও গা ঘিন ঘিন করতে পারে। তিনিই শিক্ষক, গুরু। আর তিনিই কি না এমন জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন। নক্কারজনক বললেও হয়তো কম বলা হবে। কোচের হাতেই শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রী। গোয়ায় শ্লীলতাহানির শিকার বাংলার প্রতিশ্রুতিমান সাঁতারু। আর সেই সাঁতারুর কোচ সুরজিত গাঙ্গুলিও বাংলারই একজন। গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বাংলার সাঁতার কমিউনিটি ক্ষোভে ফুঁসছে। কোনওভাবেই যেন এমন দু্ষ্কর্ম করার পর রেহাই না পান কোচ সুরজিত, আর্জি সেরকমই।
আরও পড়ুন- গোয়ায় শ্লীলতাহানির শিকার রিষড়ার সোনাজয়ী সাঁতারু
অভিযুক্ত কোচের বিরুদ্ধে রিষড়া থানায় অভিযোগ নালিশ জানায় সাঁতারুর পরিবার। কিন্তু প্রথমে রিষড়া থানার তরফে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়। পুলিসের অবশ্য দাবি, লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। এবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি নিজে টুইট করে জানিয়েছেন, এমন নক্কারজনক অপরাধের জন্য কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির কঠোর শাস্তি হবে। তিনি লিখেছেন, আমি প্রথমেই পুলিসের কাছে আর্জি জানাচ্ছি এই কোচের বিরুদ্ধে যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এটা একটা জঘন্যতম অপরাধ। স্পোর্টস অথরিটির তরফেও যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়া হবে। পরে আবার একটি টুইট করে ক্রীড়ামন্ত্রী লেখেন, এই ঘটনায় আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির চুক্তি বাতিল করেছে। সুইমিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া-র কাছে আমার আর্জি, এমন ব্যবস্থা করা হোক যাতে এই কোচ ভবিষ্যতে দেশের কোথাও চাকরি না পায়।
আরও পড়ুন- স্টার্ট নিচ্ছিল না, মাঝরাস্তায় আস্ত জিপ জ্বালিয়ে দিলেন জাদেজা!
I've taken a strong view of the incident. The Goa Swimming Association has terminated the contract of coach Surajit Ganguly. I'm asking the Swimming Federation of India to ensure that this coach is not employed anywhere in India. This applies to all Federations & disciplines. https://t.co/q6H1ixZVsi
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) September 5, 2019
রিষড়ায় থাকার সময় সম্ভাবনাময়ী এই সাঁতারুকে কোচিং করাতেন সুরজিত্ গাঙ্গুলি। ২০১৭-১৮ সালে গোয়ায় চলে যান তিনি। চলতি বছরের মার্চে বাবা-মায়ের সঙ্গে গোয়ায় চলে যায় রিষড়ার এই সাঁতারু। মূলত ব্রেস্ট স্ট্রোকই ছিল ওই সাঁতারুর ইভেন্ট। সাঁতারুর বাবা-মা লক্ষ্য করেন, গত কয়েকদিন ধরে মেয়ে জলে নেমে মনোযোগ দিতে পারছে না। ভাল পারফর্ম করতেও পারছে না। চেপে ধরতেই সেই সাঁতারু কোচের দুষ্কর্মের কথা বাড়ির লোককে জানায়। এর পরই ১৪ বছর বয়সী সেই সাঁতারুর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। তাতে কোচের দুষ্কর্ম প্রকাশ পায়।