এখন কি ঝগড়ার সময়! কপিল দেব—শোয়েব আখতারের ইঁট—পাটকেল ছোড়াছুড়ি চলছেই
ভারত—পাকিস্তান, দুই দেশের বৈরিতার শেষ নেই। এর মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছিলেন, করোনার জন্য উদ্ভুত এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফান্ড জোগাড় করাটা প্রয়োজন।
নিজস্ব প্রতিনিধি— করোনার লকডাউনে ধনীদের তেমন কোনও প্রভাব হয়তো পড়েনি। দুবেলা ভাত—কাপড়ের জোগান যাঁদের রয়েছে তাঁরা এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবেন। কিন্তু যাঁদের দিন এনে দিন খাওয়া অবস্থা! তাঁরা কী করবেন! কী করে এতগুলো দিন গুজরান করবেন! কী খাবেন! সংসার চালানোর মতো অর্থই বা আসবে কোথা থেকে! সরকারি অনুদান আসছে। কিন্তু সেটাই বা কতটুকু! অনুদান দিয়ে তো আর দিনের পর দিন চলতে পারে না। এখন সারা বিশ্বে এমনই পরিস্থিতি যে দুঃস্থ মানুষদের কিছুই করার নেই। কাজ নেই। করোনা পরিস্থিতি মিটলে কাজ থাকবে কি না তারও নিশ্চয়তা নেই। তারাই পড়েছেন সব থেকে বেশি সমস্যায়। সঙ্কট বোধ হয় একেই বলে! আর এই সঙ্কটে দুঃস্থদের পাশে থাকার জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন পাকিস্তানের পেসার শোয়েব আখতার। তার সেই উদ্যোগের কথা মুখ ফুটে বলতেই যত সমস্যা দেখা দিয়েছে যেন!
ভারত—পাকিস্তান, দুই দেশের বৈরিতার শেষ নেই। এর মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেছিলেন, করোনার জন্য উদ্ভুত এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় ফান্ড জোগাড় করাটা প্রয়োজন। ভারত—পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করলে অনেক অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হবে। তবে তিনি বেশ কিছু ব্যাপার মাথায় রাখেননি। যেমন, এমন একটি সিরিজ আয়োজন এখন করবে কে! বিসিসিআই আইপিএল আয়োজন বাতিল করার পথে। সব থেকে বড় কথা, হাজার হাজার মানুষ গ্যালারি ভর্তি করে এখন খেলা দেখলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়বে। তা ছাড়া একসঙ্গে এত মানুষের খেলা দেখার অনুমতিও এখন সরকার দেবে না। তিনি এতদিক না ভেবেই হয়তো প্রস্তাব দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের এই প্রস্তাব পছন্দ হয়নি। তিনি বলেছিলেন, ''ও এমন কিছু বলতেই পারে। তবে ভারতের এখন টাকার দরকার নেই। অবস্থা খুব দ্রুত ভাল হবে না বলেই মনে হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা মানে খেলোয়াড় ও দর্শকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা। আগামী পাঁচ-ছয় মাসে ক্রিকেট নিয়ে ভাবার কোনও সুযোগ নেই।'' এর পর আবার কপিলকে পাল্টা দিয়েছেন শোয়েব।
আরও পড়ুন— ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য দুসংবাদ! আইপিএলের ভবিষ্যত্ কী, স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি
শোয়েব এবার বলেছেন, ''আমি কী বলতে চেয়েছি তা কপিল ভাই হয়তো বুঝতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে প্রচুর মানুষের টাকার প্রয়োজন। অনেকের দুবেলা খাওয়া জুটছে না। মাথা খাটিয়ে কিছু একটা উপায় বের করে দুস্থ মানুষদের এখন সাহায্য করতে হবে আমাদের। কপিল ভাইয়ের হয়তো টাকার দরকার নেই। তাঁর অবশ্যই টাকার দরকার আর নেই। কিন্তু বাকিদের প্রয়োজন আছে। আমার প্রস্তাবটা নিয়ে ভাবলে আখেরে ক্ষতি হবে না।''