Shane Warne Passes Away: বাবা নেই! মানতেই পারছেন না জ্যাকশন, ব্রুক, সামার
স্পিনের শেষে, ঘুমের দেশে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার পুরো দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিলে তাঁর শেষ ডেলিভারি। বিষাক্ত ফ্লিপারের মতোই বিষাক্ত ছিল তাঁর চিরঘুমে চলে যাওয়ার খবর। সবাইকে চমকে দিয়ে মাত্র ৫২ বছর বয়সে থাইল্যান্ডে নিজের ভিলাতে মৃত্যু হয় স্পিন লেজেন্ডের। ওয়ার্নের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে প্রথম জানান প্রাক্তন ক্রিকেটারের দীর্ঘ দিনের ম্যানেজার জেমস এর্সকিন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়ার্নের পরিবার মেনে নিতে পারছেন না তিনি নেই। তাঁরা শোকস্তব্ধ।
জেমস জানিয়েছেন, ওয়ার্নের তিন সন্তান এই ঘটনাকে এখনও দুঃস্বপ্ন বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, "রবিবার ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওয়ার্নের তিন সন্তান শোকে বিহ্বল হয়ে গিয়েছে। ওদের এই ঘটনাকে দুঃস্বপ্ন বলে মনে করছে। ওরা ভাবছে এই বুঝি বাড়িতে ফিরবে ওয়ার্ন।"
প্রিয় ওয়ার্নি চলে গিয়েছেন। সেটা এখনও মানতে পারছেন তাঁর বাবা কিথ ওয়ার্ন। জেমস যোগ করেছেন, "ওয়ার্নের বাবা কিথ এমনিতে খুব শক্ত মনের মানুষ। কিন্তু তিনিও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন। পরিবারের তরফে আবেদন করা হয়েছে এই সময় তাঁদের যেন বিরক্ত না করা হয়।"
ওয়ার্ন ও তাঁর প্রথম স্ত্রী সিমোন কল্লহনের তিন সন্তান রয়েছে। তাদের নাম জ্যাকসন, সামার ও ব্রুক। ১৯৯৫ সালে সিমোনের সঙ্গে বিয়ে হয় ওয়ার্নের। ১০ বছর সংসার করার পরে ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
আচমকাই মৃত্যু হয় ওয়ার্নের। মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। থাইল্যান্ড পুলিসের দাবি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের। ওয়ার্নের এ ভাবে মৃত্যুর পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন, এর মধ্যে কোনও রহস্য আছে কি না। কিন্তু থাইল্যান্ড পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, ওয়ার্নের মৃত্যুর মধ্যে কোনও রহস্য নেই।
শুক্রবার বিকেলে থাইল্যান্ডে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রাক্তন অজি স্পিনার। কিন্তু এখনও তাঁর দেহ পায়নি ওয়ার্নের পরিবার। থাইল্যান্ড প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন সে দেশের অস্ট্রেলিয় দূতাবাস। কিন্তু আটোপসির আগে ওয়ার্নের দেহ ছাড়তে রাজি নয় থাই প্রশাসন। ছুটি কাটাতে থাইল্যান্ডের কো-সামুই দ্বীপে গিয়েছিলেন ওয়ার্ন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার ওয়ার্নের দেহ কো-সামুই থেকে পাঠানো হয়েছে সুরাট থানিতে। সেখানেই হবে অটোপসি। তারপর ওয়ার্নের দেহ পাঠানো হবে মেলবোর্নে। সেখানেই ওয়ার্নকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর হবে শেষকৃত্য। ওয়ার্নের মরদেহের অপেক্ষায় বসে আছে তাঁর পরিবার ও বন্ধুরা।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বাইরে ওয়ার্নের মূর্তিতে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পালা চলছে। ক্রিকেটের পাশাপাশি বিয়ার ও সিগারেট ছিল তাঁর প্রিয়। অনুগামীদের অনেকেই তাই লাল ক্রিকেট বলের পাশাপাশি বিয়ারের ক্যান ও সিগারেটের প্যাকেট রেখে আসেন মূর্তির পাশে।অনেকে আবার অপেক্ষা করে আছেন ওয়ার্নের মরদেহ আসার। শেষবার দেখতে চান নিথর ওয়ার্নকে। অপেক্ষায় আছে আছে তাঁর পরিবারও। মেলবোর্ন তৈরি হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া প্রশাসন তৈরি তাঁদের ছেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। ভিক্টোরিয়ান সরকার জানিয়েছে, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সাদার্ন স্ট্যান্ডের নাম রাখা হয়েছে ওয়ার্নের নামে। এই মাঠেই টেস্ট কেরিয়ারের ৭০০ তম উইকেট নিয়েছেন ওয়ার্ন।
আরও পড়ুন: ICC Women’s World Cup 2022, INDWvsPAKW : বাইশ গজের বাইরে একরত্তিকে নিয়ে মা-মাসিদের খুনসুটি