ধোনির বর্ডার ছোঁয়া জয়ের ৩-০-এর অর্থহীন সিরিজ
তিন চারটে রেকর্ড গড়া ছাড়া জিম্বাবোয়ে সফরের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের কাছে অর্থহীন হয়ে দাঁড়াল। একেবারে দুর্বল জিম্বাবোয়েকে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ একদিনের ম্যাচে হারিয়ে ৩-০ সিরিজ জেতা ছাড়া আর দারুণ কিছু লাভ হল না ভারতীয় ক্রিকেটের। কারণ জিম্বাবোয়ের ব্যর্থতায় দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের ঠিকমত দেখার সুযোগই পাওয়া গেল না। লোকেশ রাহুল ছাড়া আর ভারতের কোনও ব্যাটসম্যানই ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেলেন না। এদিনের ম্যাচ জিতে ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে অ্যালেন বর্ডারের রেকর্ড ছুঁলেন। অসি বর্ডার অধিনায়ক হিসেবে ১০৭টি ওয়ানডে ম্যাচ জিতিয়েছেন। ধোনি সেই রেকর্ড ছুঁলেন। ধোনির সামনে এখন শুধু রিকি পন্টিং (১৬৫)। মানে পন্টিংয়ের রেকর্ড ভাঙতে হলে ধোনিকে অধিনায়ক হিসেবে জিততে হবে আরও ৫৯টি ওয়ানডে ম্যাচ। তার মানে এই রেকর্ডের জন্য অন্তত ২১০৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনিকে অধিনায়ক থাকতে হবে।
ওয়েব ডেস্ক: তিন চারটে রেকর্ড গড়া ছাড়া জিম্বাবোয়ে সফরের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের কাছে অর্থহীন হয়ে দাঁড়াল। একেবারে দুর্বল জিম্বাবোয়েকে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ একদিনের ম্যাচে হারিয়ে ৩-০ সিরিজ জেতা ছাড়া আর দারুণ কিছু লাভ হল না ভারতীয় ক্রিকেটের। কারণ জিম্বাবোয়ের ব্যর্থতায় দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের ঠিকমত দেখার সুযোগই পাওয়া গেল না। লোকেশ রাহুল ছাড়া আর ভারতের কোনও ব্যাটসম্যানই ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেলেন না। এদিনের ম্যাচ জিতে ধোনি অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে অ্যালেন বর্ডারের রেকর্ড ছুঁলেন। অসি বর্ডার অধিনায়ক হিসেবে ১০৭টি ওয়ানডে ম্যাচ জিতিয়েছেন। ধোনি সেই রেকর্ড ছুঁলেন। ধোনির সামনে এখন শুধু রিকি পন্টিং (১৬৫)। মানে পন্টিংয়ের রেকর্ড ভাঙতে হলে ধোনিকে অধিনায়ক হিসেবে জিততে হবে আরও ৫৯টি ওয়ানডে ম্যাচ। তার মানে এই রেকর্ডের জন্য অন্তত ২১০৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধোনিকে অধিনায়ক থাকতে হবে।
পড়ুন ৩৫০-এর নজিরে দেশের প্রথম ধোনিই, বিশ্বে চতুর্থ
এবার আসা যাক আজকের ম্যাচের কথায়। বুধবার হারারের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটাও ছিল আগের দুটোর মতই। আগের দুটো ম্যাচের মতই জিম্বাবোয়ের প্রথম ব্যাটিং। আগের দুটো ম্যাচের মতই শুরুটা মন্দ না করেও হঠাত্ ধস। ৩ উইকেটে ৮৯ রান থেকে জিম্বাবোয়ে অলআউট ১২৩ রানে। স্বপ্নের ফর্মে থাকা জশপ্রিত বোমরা নিলেন ২২ রানে ৪ উইকেট। চাহাল নিলেন ২টি উইকেট।
জবাবে দুই ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুল ও অভিষেক হওয়া ফৈয়জ ফজল মাত্র ২১.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। লোকেশ রাহুল করেন অপরাজিত ৬২। আর প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নেমে ফজল করলেন ৬১ বলে ৫৫। মারলেন একটা ছক্কা, ৭টা বাউন্ডারি।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে-তে জিম্বাবোয়ে করেছিল ১৬৮, দ্বিতীয়টায় ১২৬, আর এদিন অলআউট ১২৩ রানে। জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যানদের এই অসহায় আত্মসর্মপণে কপাল পুড়ল মনীশ পান্ডে, করুণ নায়ার কেদার যাদব, অকসর প্যাটেলদের। কারণ এরা কেউই সেভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পেলেন না। ফলে আগামী সিরিজে কোহলি, জাদেজা,রায়নারা ফিরলে তাদের চাপ হয়ে যাবে। ধোনিও একটা বলও খেলার সুযোগ পেলেন না। ফলে সিরিজ অনেকটাই অর্থহীন থেকে গেল। লোকেশ রাহুল সিরিজ করলেন ১৯৬ রান। একটা অভিষেক শতরান সহ লোকেশের গড় দাঁড়াল ১৯৬। হোয়াইটওয়াশ সিরিজের প্রাপ্তি এটাই। তবে জিম্বাবোয়ে দলটাই এতটা দুর্বল যে এর থেকে এই সিরিজের বদলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললে হয়তো আখেরে লাভই হত। এবার জিম্বাবোয়ে সফরের থেকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজটাই বেশি কাজের হবে।