Santosh Trophy: মণিপুরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলা, সামনে শক্ত প্রতিপক্ষ কেরল
এ বার গ্রুপ পর্বে এই কেরলের কাছেই হেরেছিল বাংলা। ফাইনাল প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ তাদের কাছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানের (Rajasthan) বিরুদ্ধে গত ম্যাচ যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুক্রবার মণিপুরকে (Manipur) বুঝে নিল বাংলা (Bengal)। পাহাড়ের দলকে ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে ফের একবার সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) ফাইনালে চলে গেল বঙ্গব্রিগেড।
এ বার সামনে প্রতিপক্ষ কেরল (Kerala)। বিপক্ষের ঘরের মাঠে আগামী ২ মে ফাইনাল জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামবে রঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলেরা।
এ দিন মণিপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই সুজিত সিং দূরপাল্লার একটি শট নেন। তাঁর গোল মেটেইকে হতচকিত করে গোলে জড়িয়ে যাওয়ার ফলে আবারও এক হাই স্কোরিং ম্যাচের আশায় ছিলেন সমর্থকরা। সেই আশা আরও বেড়ে যায় যখন মণিপুর গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের বোঝাপড়ার ভুলের সুযোগ নিয়ে মাত্র সাত মিনিটেই বাংলার হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন ফারদিন আলি মোল্লা। এটিকে মোহনবাগানের ফারদিন একেবারে মাথা ঠান্ডা রেখে দারুণভাবে গোলের একেবারে কর্ণারে বল জড়িয়ে দেন। এটি এ বারের টুর্নামেন্টে তাঁর পঞ্চম গোল।
পিছিয়ে গিয়েও মণিপুর দমে যায়নি। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে পাহাড়ের দল। ৩২ মিনিটে বাংলার গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং দারুণভাবে জোড়া সেভ করে দলের ক্লিনশিট অক্ষত রাখেন। ফলে ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি। ২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষে সাজঘরে ফেরে বাংলা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও উদ্যম নিয়ে আক্রমণ হানায় মণিপুর। তবে ৭৪ মিনিটে দিলীপ ওঁরাওয়ের গোলে বাংলার জয় সুনিশ্চিত হয়ে যায়। বল ক্রস করতে গেলেও দিলীপের ক্রস বারে লেগে জালে জড়িয়ে যায় মণিপুর গোলকিপার বলের ফ্লাইটই ধরে পারেননি। শেষমেশ ৩-০ গোলেই রঞ্জন ভট্টাচার্যের কোচিংয়ে ফাইনালের টিকিট অর্জন করে বাংলা।
ম্যাচের শেষে প্রিয়ন্ত বলেন, “কোচ আমাদের পরিকল্পনামাফিক খেলতে বলেছিলেন। ৪০ বছর পর কেরলে ফাইনাল খেলতে নামব আমরা। ঠিকই করে নিয়েছিলাম খালি হাতে ফিরব না।”
সন্তোষ ট্রফির ৮১ বছরের ইতিহাসে সর্বাধিক ৩২বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। শেষবার ট্রফি এসেছিল ২০১৬-১৭ মরশুমে। গোয়ার বিরুদ্ধে সেবার ১-০ গোলে জিতেছিল বঙ্গব্রিগেড।
তবে গত কয়েকটা বছর ভাল কাটেনি। ২০১৭-১৮ মরশুমে এই কেরলের বিরুদ্ধে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে টাইব্রেকারে (৪-২) হেরে গিয়েছিল বাংলা। এ বার গরুপ পর্বেও সেই একই পরিণতি। ফের একবার কেরলের কাছেই হারতে হয়েছিল ফারদিনদের। তবে এ বার প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে রঞ্জনের দলের কাছে।
ঐতিহ্যবাহী ট্রফি কি কলকাতায় আসবে? আর মাত্র এক ম্যাচের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: Boris Becker jailed: সম্পত্তি গোপন করে আড়াই বছরের জন্য শ্রীঘরে গেলেন টেনিস তারকা