শততম শতরান হাতছাড়া সচিনের
ঘরের মাটিতেও হাতছাড়া সচিনের শততম শতরান। চুরানব্বই রানে রামপালের বলে সচিনের শট স্লিপে সামির হাতে জমা হতেই শেষ হয়ে গেল ওয়াংখেড়ের প্রতীক্ষা। বিমর্ষ সচিনের শহর। বিষন্ন গোটা দেশ।
ঘরের মাটিতেও হাতছাড়া সচিনের শততম শতরান। চুরানব্বই রানে রামপালের বলে সচিনের শট স্লিপে সামির হাতে জমা হতেই শেষ হয়ে গেল ওয়াংখেড়ের প্রতীক্ষা। বিমর্ষ সচিনের শহর। বিষন্ন গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছিল চরম প্রতীক্ষার। টেনশনে ঘুমোতে পারেনি গোটা ভারত। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে প্রার্থনা। অন্যান্য দিনের তুলনায় ওয়াংখেড়েও ভর্তি হয়েছিল প্রায় তিনগুন। যার জন্য এতকিছু তিনি শুরুটাও করেছিলেন দুরন্ত। একেবারে শুক্রবারে রিলিজ হওয়া কোনও সুপারস্টারের ফিল্মের ফার্স্ট ডে ফাস্ট শো-য়ের মত।
লক্ষ্মণ আউট হলেও,নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। এত ভাল মঞ্চ আর কোথায় পাবেন!ঘরের মাঠ,তার উপর এখানেই জিতেছেন একুশ বছরের অধরা বিশ্বকাপ। গাভাসকার থেকে বেঙ্গসরকরের মত প্রাক্তন কিংবদন্তী মুম্বইকরদের উপস্থিতি। নব্বইয়ে কোটা পেরিয়ে যাওয়ার পর গোটা দেশ যেন ধরেই নিয়েছে আর কেউ আটকাতে পারবেনা সচিনকে।
কিন্তু শেষরক্ষা হলনা!চুরানব্বই রানে রবি রামপালের বলে সচিনের শট দ্বিতীয় স্লিপে ডারেন সামির হাতে জমা পড়তেই শেষ প্রতীক্ষা। টেনশন। ওয়াংখেড়ের গ্যালারি যেন বুঝতে পারছেনা,কি হল।টেস্টের গতিপ্রকৃতি যা,তাতে সচিনের কীর্তি ওয়াংখেড়েতে গড়া অসম্ভব। তাই ফের অপেক্ষার শুরু। অপেক্ষায় সচিনও।