দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ম্যাচেই শোচনীয় ভাবে ভারতের তরী ডুবল, ধোনির লড়াইও প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে জয়ের সন্ধান দিতে পারল না

দক্ষিণআফ্রিকা সফরের শুরুটা সুখের হল না ভারতের। প্রোটিয়ারা যে ধোনি এন্ড কোম্পানিকে বেগ দেবেন সেই ভবিষ্যৎবাণী মোটামুটি সব ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাই করেছিলেন। কিন্তু শুরুর লগ্নে যে এতটা দুঃস্বপ্ন লুকিয়ে থাকবে সেটাও বোধহয় কেউই আঁচ করতে পারেননি। জোহনেসবার্গের ওয়ানডেরারস-এ শুরুটা মন্দ করেননি মহম্মদ শামিরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই খেই হারিয়ে ফেলন তাঁরা। ফিল্ডাররাও তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ নিয়ে ভারতীয়দের আগেই সাবধান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। বৃহস্পতিবার প্রমাণিত হল তিনি ঠিক কতটা ঠিক ছিলেন। নিজেদের ব্যাটিং বাহিনীর উপর ভরসা করে টসে জিতে কালিসদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছিলেন ধোনি। ভেবেছিলেন ৩০০ রানের মধ্যে বিপক্ষকে বেঁধে রাখতে পারলে সহজেই জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু ধোনির সব হিসাবনিকাশ ভুল প্রমাণ করে ভারতীয় বোলারদের বেধরক ঠেঙিয়ে ককরা ৩৫৮ তোলেন। অন্যদিকে, খেলতে নেমে মাত্র ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।

Updated By: Dec 6, 2013, 10:58 AM IST

দক্ষিণআফ্রিকা সফরের শুরুটা সুখের হল না ভারতের। প্রোটিয়ারা যে ধোনি এন্ড কোম্পানিকে বেগ দেবেন সেই ভবিষ্যৎবাণী মোটামুটি সব ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাই করেছিলেন। কিন্তু শুরুর লগ্নে যে এতটা দুঃস্বপ্ন লুকিয়ে থাকবে সেটাও বোধহয় কেউই আঁচ করতে পারেননি। জোহনেসবার্গের ওয়ানডেরারস-এ শুরুটা মন্দ করেননি মহম্মদ শামিরা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই খেই হারিয়ে ফেলন তাঁরা। ফিল্ডাররাও তাঁদের যোগ্য সঙ্গত করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ নিয়ে ভারতীয়দের আগেই সাবধান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। বৃহস্পতিবার প্রমাণিত হল তিনি ঠিক কতটা ঠিক ছিলেন। নিজেদের ব্যাটিং বাহিনীর উপর ভরসা করে টসে জিতে কালিসদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছিলেন ধোনি। ভেবেছিলেন ৩০০ রানের মধ্যে বিপক্ষকে বেঁধে রাখতে পারলে সহজেই জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন। কিন্তু ধোনির সব হিসাবনিকাশ ভুল প্রমাণ করে ভারতীয় বোলারদের বেধরক ঠেঙিয়ে ককরা ৩৫৮ তোলেন। অন্যদিকে, খেলতে নেমে মাত্র ২১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।

কুইন্টন ডি কুক আর হাসিম হামলার ওপেনিং জুটির ধুঁয়াধার ১৫২ রানের শুরুয়াতেই ভারতের জন্য বিপদের গন্ধ ডেকে নিয়ে এসেছিল। কক ১২১ বলে ১৩৫ রানের ১৮টা ৪ আর ৩টে ৬-এর অনবদ্য ইনিংস খেলেন।

এর পর অধিনায়কের ৪৭ বলে ৭৭রান আর জেপি ডুমিনির ৩৯ বলে ৫৯ রান ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটি নিশ্চিত করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। মাত্র ছয় ওভারে দু`জনে যোগ করেন ১০০রান।

কিন্তু ভারত যখন ব্যাট করতে নামল দক্ষিণ আফ্রিকার আশ্চর্য পিচ ততক্ষণে চরিত্র বদল করে ফেলেছে। বল পিচে পড়েই চটে লাফাতে শুরু করেছে। কুৎসিত একটা বাউন্সারে শিখর ধাওয়ানকে মাত্র ১২ রানে তুলে নিয়ে ধোনি বাহিনীর প্রাথমিক রক্তক্ষরণটা শুরু করে দিয়েছিলেন মর্নি মর্কেল।

বিরাট কোহলি (৩১) নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করে শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু বেশি দূর এগনো হয়নি তাঁর। স্কোরবোর্ডের বিন্দুমাত্র অদলবদল না করে মাত্র দু`বল খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান যুবরাজ সিং। দাঁতে দাঁত চেপে শেষ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ধোনি (৬৫)। কিন্তু অন্যদিকে রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়নারা তখন `শুধু আসা যাওয়া`-র পথ ধরেছেন। ধোনিকে কিছুটা সঙ্গত করেন জাদেজা (২৯)। কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৪১ ওভারে ২১৭ রানে দৌড় শেষ হয়ে যায় কোহলিদের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেশের মাঠে কার্যত মুরগি করার পর ধোনিরা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে রওনা দিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে তাই নিজের উইনিং কম্বিনেশন ভাঙেননি ধোনি। তবে শুরুতেই যে ধাক্কাটা মাহি পেলেন তাতে আশা করা যায় দল নিয়ে এবার গুছিয়ে ভাবতে হবে তাঁকে।

.