চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ পিঙ্কি
নিজের হেনস্থার প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করেছেন পিঙ্কি প্রামাণিক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি সুবিচার চাইবেন বলেও পিঙ্কি জানান। পাশাপাশি দাবি করেছেন তাঁর পদক কেড়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পিঙ্কির অভিযোগ তাঁকে হেনস্তা করতেই পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চার্জশিট পেশ করেছে। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, পিঙ্কির মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং চার মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে উঠে আসা সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই চার্জশিটে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷
নিজের হেনস্থার প্রতিকার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করেছেন পিঙ্কি প্রামাণিক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি সুবিচার চাইবেন বলেও পিঙ্কি জানান। পাশাপাশি দাবি করেছেন তাঁর পদক কেড়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। পিঙ্কির অভিযোগ তাঁকে হেনস্তা করতেই পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চার্জশিট পেশ করেছে। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, পিঙ্কির মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং চার মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে উঠে আসা সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই চার্জশিটে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের দাবি মতো মেডিক্যাল রিপোর্টে পিঙ্কিকে জিনগতভাবে মহিলা নয় বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে৷ তার ব্যাখ্যাও দেওয়া রয়েছে রিপোর্টে৷ অভিযোগকারিণী ও তাঁর ৫ বছরের শিশুকন্যা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দিতেও অভিযোগের সত্যতার কথাই জানিয়েছেন৷
প্রসঙ্গত, এশিয়াডে সোনা জয়ী `মহিলা` অ্যাথলিট পিঙ্কি প্রামাণিকের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জুনে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক মহিলা। অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন পিঙ্কি। পিঙ্কিকে পুরুষ বলে দাবি করে ওই মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণেরও অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় পিঙ্কি প্রামাণিককে। আদালত তাঁকে ২৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ নেয়।
লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য তিন দফায় মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় তাঁর। এসএসকেএম-এর শেষ শারীরিক পরীক্ষার সময় সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠিত হয়। পরে মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রমাণিত হয় পিঙ্কি আসলে পুরুষ। তার ভিত্তিতেই আজ বারাসত আদালতে পিঙ্কির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিস। চার্জশিটে পিঙ্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, সম্পত্তি হাতানো সহ মোট ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলি হল ৪১৭ (প্রতারণা), ৩২৫ (মারধর), ৪৯৩ (বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস), ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৫০৬ (হুমকি)। শেষ শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়, পিঙ্কি পুরুষ এবং সে সহবাসে সক্ষম। চার্জশিটের সঙ্গে এই মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়ে।