অধিকারের দাবিতে মিছিলে হাঁটলেন প্যারালিম্পিয়ানরা

আঠাশে অগাস্ট বিকেলের কলকাতা সাক্ষী রইল একটু অন্য রকম এক মিছিলের। `ওয়াক্‌ ফর প্যারালিমিপক্স‌` নামের এই মিছিলে বাংলার প্যারালিম্পিয়ানদের সঙ্গে পা মেলালেন সাধারণ মানুষ। লন্ডনে শুরু হয়ে গেছে প্যারালিমিপক্স ২০১২। ভারত থেকে মোট ১০ জন প্রতিযোগী এবারের প্যারালিমিক্সে অংশগ্রহণ করলেও কোন ভারতীয় প্রচার মাধ্যমেই সম্প্রচারিত হচ্ছে না এই প্রতিযোগিতা। মূলত এরই প্রতিবাদেই আয়োজিত হয়েছিল মঙ্গলবারের বৃষ্টি ভেজা বিকেলের এই মিছিল। আয়োজকের ভুমিকায় ছিল সিভিলিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন` নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

Updated By: Aug 29, 2012, 07:05 PM IST

অধিকারের দাবিতে মিছিলে হাঁটলেন প্যারালিম্পিয়ানরা
আঠাশে অগাস্ট বিকেলের কলকাতা সাক্ষী রইল একটু অন্য রকম এক মিছিলের। `ওয়াক্‌ ফর প্যারালিমিপক্স‌` নামের এই মিছিলে বাংলার প্যারালিম্পিয়ানদের সঙ্গে পা মেলালেন সাধারণ মানুষ। লন্ডনে শুরু হয়ে গেছে প্যারালিমিপক্স ২০১২। ভারত থেকে মোট ১০ জন প্রতিযোগী এবারের প্যারালিমিক্সে অংশগ্রহণ করলেও কোন ভারতীয় প্রচার মাধ্যমেই সম্প্রচারিত হচ্ছে না এই প্রতিযোগিতা। মূলত এরই প্রতিবাদেই আয়োজিত হয়েছিল মঙ্গলবারের বৃষ্টি ভেজা বিকেলের এই মিছিল। আয়োজকের ভুমিকায় ছিল সিভিলিয়ান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন` নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
যাদবপুর থেক দেশপ্রিয় পার্ক। মোট ৫ কিলোমিটার রাস্তা ছিল মিছিলের যাত্রা পথ। নিছক সহানুভুতি নয়, প্রাপ্য সম্মানের দাবীতে এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন বাংলার কয়েকশো `বিশেষ ভাবে সক্ষম ক্রীড়াবিদ`। অর্থাত্, প্যারালিম্পিয়ানস। সামগ্রিক ভাবেই, সমস্ত দিক থেকেই চরম অবহেলার শিকার এঁরা। নূন্যতম পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত সরকারী অনুদান, মিডিয়ার কৃপা দৃষ্টি - কোন কিছুই পান না এঁরা। তাই প্রশান্ত কর্মকারের মতো অর্জুন পুরস্কার বিজয়ীকেও থাকতে হয়ে অন্ধকারেই। সেই ক্ষোভই ফুটে উঠল ভারতের প্রথম প্যারাসাঁতারু-অর্জুন প্রশান্তর গলায়। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই তিনি বললেন, "মানুষ জানুক আমরাও পারি"। প্রশান্তর মতই মিছিলে সামিল হয়েছিলেন প্রবীর সরকার। ভারতের একমাত্র ব্লেড রানার লং জাম্পার। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন এবারের জাতীয় প্যারা অ্যথলেটিক্সে পদকজয়ী ক্ষুদে প্যারালিম্পিয়ানরাও।
উদ্যেক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারত তথা এশিয়াতেই এরকম উদ্যোগ এই প্রথম। সক্ষমতা-অক্ষমতার তথাকথিত সামাজিক পাঁচিল ভেঙ্গে ফেলাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে কাউকেই এইভাবে বিশেষ তালিকাভুক্ত করা যায় না। তবে এখানেই শেষ নয়। প্যারালিম্পিয়ানদের অধিকারের দাবিতে ভবিষ্যতে তাঁদের আরও পরিকল্পনা আছে বলেও এদিন জানান তাঁরা।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে কোন বাধাই নয় এদিন তা আরও একবার প্রমাণ করলেন প্যারালিম্পিয়ানরা। প্রকৃতির রোদ-বৃষ্টির খামখেয়ালিপনাকে অগ্রাহ্য করেই মিছিলের দীর্ঘ পথ হাঁটলেন তাঁরা। শহর কলকাতার বুকে তাঁদের `সক্ষম`তার স্বাক্ষর রাখলেন তাঁরা। পথ চলতি মানুষের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, হ্যাঁ আমরাও পারি ঠিক তোমাদেরই মতো- হয়েতো বা কিছু বেশিই।

.