প্রয়ান দিবসেই মরণোত্তর 'মোহনবাগান রত্ন' ক্লাবকে ফিরিয়ে দিল গোষ্ঠ পালের পরিবার
১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান গোষ্ঠ পাল। আর ২০০৪ সালে মোহনবাগান ক্লাবের তরফে মরণোত্তর 'মোহনবাগান রত্ন' তুলে দেওয়া হয় গোষ্ঠ পালের পরিবারের হাতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মোহনবাগান ক্লাব থেকে খোয়া গিয়েছে গোষ্ঠ পালের পদ্মশ্রী সহ আরও কয়েকটি সম্মান এবং পদক। এমনকি মাস খানেক আগে ক্লাবের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল গোষ্ঠ পালের হারিয়ে যাওয়া পদ্মশ্রী সম্মান খুঁজে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই কথার কথা। কেউ কথা রাখেনি। অপমানে ক্লাবের দেওয়া 'মোহনবাগান রত্ন' ফিরিয়ে দিল গোষ্ঠ পালের পরিবার। ৮ এপ্রিল তা ফিরিয়ে দিলেন। আজ গোষ্ঠ পালের ৪৪তম প্রয়াণ দিবস।
২৭ বছর আগে ১৯৯২ সালে গোষ্ঠ পালের পাওয়া পদ্মশ্রী-সহ নানা মেডেল ও সম্মান মোহনবাগানের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গোষ্ঠ পালের ছেলে নীরাংশু পাল। কিন্তু, সেই সবে কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। মার্চ মাসে শুরুর দিকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়া হয় গোষ্ঠ পালের ছেলের হাতে। তখন ক্লাবের তরফ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, পদ্মশ্রী সম্মান খুঁজে পেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এরপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। গঙ্গাপাড়ের ক্লাবটি কিন্তু পদ্মশ্রী ফেরত্ দিতে পারেননি গোষ্ঠ পালের পরিবারকে।
এদিকে ৮ এপ্রিল, প্রতিবছরের মতো আজও সকালে ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সোজা মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে চলে যান নীরাংশু পাল। ক্লাবে ঢুকেই ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও কোষাধ্যক্ষ সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। বিরক্ত নীরাংশুবাবু জানিয়ে দেন, ক্লাব থেকে বাবাকে মোহনবাগান রত্ন দেওয়া হয়েছিল। সেটা ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম।
গোষ্ঠ পাল পুত্রের এমন আচরণে কিছুটা অবাকই হয়ে যান বাগান কর্তারা। ১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান গোষ্ঠ পাল। আর ২০০৪ সালে মোহনবাগান ক্লাবের তরফে মরণোত্তর 'মোহনবাগান রত্ন' তুলে দেওয়া হয় গোষ্ঠ পালের পরিবারের হাতে।
আরও পড়ুন - পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা জাতীয় দলের ক্রিকেটার!