Neymar: বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় টানা পাঁচদিন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন নেইমার! নিতে চেয়েছিলেন অবসর!
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লিলের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তারপর থেকে আর মাঠেই নামতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান। প্রায় পাঁচমাস মাঠের বাইরে তিনি। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বিরতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাতার বিশ্বকাপে (FIFA Qatar World Cup 2022) ব্যর্থতায় টানা পাঁচদিন কেঁদেছিলেন নেইমার (Neymar)। নিতে চেয়েছিলেন অবসর! এমনই অজানা তথ্য স্বীকার করে নিলেন ব্রাজিলের (Brazil)'পোস্টার বয়'। ২০০২ সালে রোমারিও (Romario)-বেবেতোর (Bebeto) সৌজন্যে শেষবার বিশ্বজয়ী হয়েছিল সেলেকাওরা। এরপর থেকে কেটে গিয়েছে ১৭টা বছর। ক্রোয়েশিয়ার (Croatia) কাছে হেরে গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল তিতে (Tite)। এরপর টানা পাঁচদিন কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তারকা স্ট্রাইকার।
নেইমার বলেন, "বিশ্বকাপ হারের জ্বালা মারাত্মক ছিল। আমি টানা পাঁচ দিন কেঁদেছি। এভাবে স্বপ্ন চূর্ণ হওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ০–০ অবস্থা থেকে টাইব্রেকারে ম্যাচ হারব এবং কোনও গোল করব না—সেটা মেনে নিতে রাজি আছি। কিন্তু গোল করব, এরপর গোল হজম করে টাইব্রেকারে হারব—সেটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত।"
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪–২ গোলে হেরে যায় হলুদ বাহিনী। এরপর থেকে টানা কয়েক দিন খুব খারাপ সময় কেটেছিল নেইমারের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের তারকা শুনিয়েছেন সেই সময়ের গল্প।
কাতার বিশ্বকাপে এমন ব্যর্থতার পর জাতীয় দল থেকে অবসরও নিতে চেয়েছিলেন নেইমার। তবে পরবর্তীতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। সেটাও অকপটে জানিয়ে দিলেন ব্রাজিলের মহাতারকা। তাঁর মতে, "সেই হারের জন্য পুরো দল ও সাজঘরের পরিবেশ খুব ভারী হয়ে উঠেছিল। আমি সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আর কখনও যেতে চাই না। এখনও সেই ঘটনা মনে পড়লে খুব কষ্ট হয়।"
এরপর তিনি ফের যোগ করলেন, "সত্যি বলতে বিশ্বকাপের পর আমি আর জাতীয় দলে ফিরতে চাইনি। কিন্তু সতীর্থদের অনুরোধে ফের নতুন করে ভাবতে হয়েছে। আমি তো সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। তাই ওই ভাবনা পুনর্বিবেচনা করে পাল্টাতে হয়েছে। বিশ্বকাপের পর আমি আর কষ্ট পেতে চাইনি।"
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লিলের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তারপর থেকে আর মাঠেই নামতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান। প্রায় পাঁচমাস মাঠের বাইরে তিনি। এটাই তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় বিরতি। ২১ জুলাই লে হার্ভের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নতুন মরসুমের প্রস্তুতি শুরু করবে প্যারিস সঁ জরমঁ-কে। তবে নেইমার পিএসজি-তে থাকছেন কিনা সেটা কিন্তু এখনও নিশ্চিত নয়।