লালডানমাইয়ার জোড়া গোলে ষোলোর ডার্বির রঙ লাল হলুদ
ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি কোলা ডো তখন ওয়ান টাচ ফুটবলে প্রথম ম্যাচেই মন জিতে নিয়েছেন লাল হলুদ সমর্থকদের। পাল্টা আক্রমণে ওমরের মাইনাস থেকে আজহারের গোল। ডার্বি বয় এর গোলে ১৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান
সুখেন্দু সরকার: সকাল থেকে কলকাতার মনখারাপ। মেঘে ঢাকা আকাশ। শীতের পরন্ত বিকেলে যুব ভারতীতে তখন ডার্বির উত্তাপ পরতে পরতে। মরশুমে আই লিগের প্রথম ডার্বির আগে লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাই মিনার্ভা র সঙ্গে ড্র করেছে। আর তাতেই যেন শুরু থেকে তেতে উঠল কলকাতার দুই প্রধান। পিছিয়ে পরেও জয় ছিনিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল। ৩-২ গোলে জিতল লাল হলুদ ব্রিগেড।
আরও পড়ুন- কী কাণ্ড! সরাসরি সম্প্রচারের সময় নাথান লিঁয়র প্যান্ট খুলে দিলেন মিচেল স্টার্ক
চার মিনিটের মধ্যে ডানমাইয়ার গোলে সমতা ফেরায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর রেফারিং নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতেই পারে। বার বার বাগান কর্তারা ফোর্থ রেফারির কাছে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। খেলার গতি অবশ্য তাতে একটুও কমেনি। বিরতির মিনিট দুয়েক আগে বাগান ডিফেন্সের ভুলে ব্যাক ভলিতে জবি জাস্টিনের গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন- বিতর্কিত ক্যাচ! পারথে কোহলির আউট নিয়ে থেকে গেল প্রশ্ন
বিরতির পর গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় মোহনবাগান। উল্টোদিকে পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে ইস্ট বেঙ্গল। ৫৯ মিনিটে জোড়া হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় কিংসলেকে। ১০ জনের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পরের মিনিটেই গোল ডান মাইয়ার। ৩-১ এ পিছিয়ে পরে মোহনবাগান। উল্টোদিকে ১০ জনের মোহনবাগানকে পেয়ে ছিড়ে খেতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। হাল ছাড়েনি মোহনবাগান। ৭৩ মিনিটে ডিকার গোলে স্কোর লাইন হয় ৩-২। কিন্তু তাতে অবশ্য আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মোহনবাগান। ৩-২ গোলে জয়, ৩৩ মাস পর ডার্বি জিতলো ইস্টবেঙ্গল। ২০১৫ সালের পর আবার যুব ভারতীতে জিতল লাল হলুদ।