Mohun Bagan: 'ট্রফি ধরে রাখা কঠিন'! অভিযান শুরুর আগেই কেন বলছেন ফেরান্দো? থাপা খেলছেন!
Mohun Bagan Super Giant vs Punjab FC Preview ISL 2023-24: রাত পোহালেই ফের মোহনবাগানের মিশন আইএসএল। প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে তাদের প্রতিপক্ষ অভিষেককারী পঞ্জাব এফসি। ফেরান্দো জানালেন তিনি কী ভাবছেন ম্য়াচ নিয়ে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওড়িশার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant) ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ঘরের দল ওড়িশা এফসিকে (Odisha FC vs Mohun Bagan Super Giant )। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েই, আইএসএল (ISL 2023-24) অভিযান শুরু করছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) শিষ্যরা মুখোমুখি লিগের অভিষেককারী পঞ্জাব এফসি-র (Punjab FC) স্টাইকোস ভারগেতিসের (Staikos Vergetis) শিষ্য়দের মোটেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না ফেরান্দো। শুক্রবার অর্থাৎ আজ প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক বৈঠকে ফেরান্দো যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের মিডিয়া সেন্টারে কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco)।
আরও পড়ুন: Mohun Bagan Super Giant: দিমি ধামাকায় ১০ জনের ওড়িশাকে গোলের মালা মোহনবাগানের
ফেরান্দো কিছুদিন আগে আইএসএল মিডিয়া ডে-তে ঠিক যা যা বলেছিলেন, এদিনও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ঠিক তাই বললেন। তিনি বলেন,'দেখুন আগামিকাল আমরা নতুন টুর্নামেন্ট শুরু করছি। ডুরান্ড কাপ অতীত। ফুটবল মানে আমার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। এই লিগে সব খেলাই কম-বেশি ফাইনাল। আইএসএল সহজ টুর্নামেন্ট নয়। সকলে ঠিক মানসিকতা নিয়েই প্রস্তুত থাকতে হবে। পঞ্জাব কিন্তু দারুণ ভালো টিম। ওরা গত মরসুমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। এবার ওরা আইএএসএল খেলছে। আমার ফোকাস ম্য়াচের ৯০ মিনিট। আমার লক্ষ্য একই, আপনারা জানেন যে, অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের তিনটি টুর্নামেন্ট মিলিয়ে (এএফসি কাপ, আইএসএল ও কলকাতা লিগ) প্রচুর ম্য়াচ খেলতে হচ্ছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে আনতে হবে।' ফেরান্দোর কাছে প্রশ্ন ছিল, আইএসএলে কোনও দল আজ পর্যন্ত ব্য়াক-টু-ব্য়াক ট্রফি জিততে পারেনি। তিনি কি আশাবাদী? ফেরান্দোর উত্তর 'আইএসএলে সহজ হবে না লড়াই। এবার প্রতিটি দলই কিন্তু কম-বেশি সমান। লড়াই হবে। ট্রফি ধরে রাখা কঠিন হবে। ঝুঁকিও রয়েছে। সব ট্রফিই জিততে চাইব। আমাদের সমর্থকরা সঙ্গে আছেন। ঘরের মাঠে লিগ শুরু করছি। এর অনুভূতিই আলাদা।'
কিংস কাপে খেলতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পেয়ে এই মরসুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন আশিক কুরুনিয়ান। এসিএল চোটের জন্য হাঁটুর অস্ত্রোপচার করাতে হবে। ২৬ বছরের কেরালার উইঙ্গারকে পাবেন না ফেরান্দো। পাশাপাশি নেই অনিরুদ্ধ থাপাও। ডুরান্ড ফাইনালে লাল কার্ড দেখেছেন তিনি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অনিরুদ্ধর খেলা হবে না। ফেডারেশনের নিয়ম মেনে সাংবাদিক বৈঠকেও তিনি আসতে পারেননি। তাঁর বদলে এসেছিলেন কোলাসো। যদিও মোহনবাগানের পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়েছিল যে, ফেরান্দোর পাশে থাকবেন থাপা। এদিন ক্লাব জানায় যে, ফেডারেশন নিয়মের ব্যাপারে তারা এদিন সকালেই জানতে পেরেছে। ফলে থাপাকে এদিন আনা যায়নি। ফেরান্দোর কাছে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ছিল আশিককে নিয়ে তিনি কী ভাবছেন! বাগান কোচ বলেন, 'সত্যি বলতে আমি হতাশ। অত্য়ন্ত খারাপ একটা চোট পেয়েছে। সত্যি বলতে অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তারারাই বলতে পারবেন যে, আশিক কবে মাঠে নামতে পারবে। আসলে ফুটবল টিমে সকলেই পরিবারের মতো। আমি ওর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।' আশিকের বিকল্পের প্রসঙ্গে ফেরান্দো বলছেন যে, 'আমাদের দল সত্যিই বড়, খুবই শক্তিশালী স্কোয়াড। ফলে আমাদের আশিকের বিকল্প ভেবেই এগিয়ে যেতে হবে। ও নেই বলে যে, আমরা ভীত বা চিন্তিত এমনটা নয়। আমরা সমাধান বার করে নেব। ৯০ মিনিট ১১ জন খেলে, এটাই শুধু মাথায়।'
আরও পড়ুন: Mohun Bagan: এই তিন দলই আইএসএলে দেবে বেগ! ভবিষ্যদ্বাণী ফেরান্দোর, আশিকের চোট নিয়ে এল মেগা আপডেট
এএফসি-তে ওড়িশার বিরুদ্ধে গোলের স্বাদ পেয়েছিলেন কোলাসো, ডুরান্ডেও করেছেন গোল। গত মরসুমে কোথাও যেন কোলাসো ছন্দে ছিলেন না। এবার তাঁকে বেশ ঝকঝকে দেখাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ১৭ নম্বর জার্সিধারীর বক্তব্য, 'দেখুন আমি ফর্ম নিয়ে ওভাবে ভাবিনি। তবে ওঠাপড়া থাকেই। নিজের আত্মবিশ্বাস হারালে চলবে না। অবশ্যই গোল করে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগছে। আমি কী করতে পারি, সেটাই এবার দেখার। আমাদের দল খুবই ভালো। ট্রফি জেতার জন্য আমরা সকলেই ভীষণ মোটিভেটেড। আমরা প্রতিটি ট্রফিই জিততে চাই।' এখন দেখার মোহনবাগান খেতাব ধরে রাখতে পারে কিনা! তবে আশিক ছাড়া মোহনবাগান দলে কারোর কোনও চোট সমস্যা নেই। এটাই ফেরান্দোর বাড়তি পাওনা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের, রইল App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেলের ঢোকার রাস্তা)