সবুজ মেরুনের সাদা কালো হার বাঁচাতে ব্যর্থ ওডাফা-টোলগে জুটিও
বছরভর হারের রেশটা শেষের দিকেও থেকে গেল মোহনবাগানের। ব্যর্থতা, আর বিতর্কের মরসুমের শেষের দিকটা মোহনবাগানে খারাপই গেল। ময়দানের ঐতিহ্যের বড় ম্যাচে মুখ পুড়ল সবুজ মেরুনের দল। ওডাফা-টোলগের যুগলবন্দীতেও হারের রাস্তা থেকে বেরিয়ে আসত পারল না মোহনবাগান। কলকাতা ফুটবলে ক্রমশ বর্ণহীন হতে থাকা সাদা কালো জার্সির মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরে মোহনবাগান থাকল অন্ধকারেই। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা প্রিমিয়র লিগের ম্যাচে মোহনবাগান ০-১ গোলে হারল অলোক মুখোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে।
মহামেডান স্পোর্টিং (১) মোহনবাগান (০)
বছরভর হারের রেশটা শেষের দিকেও থেকে গেল মোহনবাগানের। ব্যর্থতা, আর বিতর্কের মরসুমের শেষের দিকটা মোহনবাগানে খারাপই গেল। ময়দানের ঐতিহ্যের বড় ম্যাচে মুখ পুড়ল সবুজ মেরুনের দল। ওডাফা-টোলগের যুগলবন্দীতেও হারের রাস্তা থেকে বেরিয়ে আসত পারল না মোহনবাগান।
কলকাতা ফুটবলে ক্রমশ বর্ণহীন হতে থাকা সাদা কালো জার্সির মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে হেরে মোহনবাগান থাকল অন্ধকারেই। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা প্রিমিয়র লিগের ম্যাচে মোহনবাগান ০-১ গোলে হারল অলোক মুখোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে। বিরতির ঠিক আগে দুরন্ত ফ্রিকিক থেকে মহামেডানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন হইজুন।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আই লিগে অভিশপ্ত ডার্বির মত এই বড় ম্যাচে লাল কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের ফুটবলার। এদিন ম্যাচের ৮১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন সৌরভ চক্রবর্তী। শুরুতে এদিন ওডাফাকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। কিন্তু ম্যাচ হারের ভয়ে ৬১ মিনিটে সাবিথের পরিবর্তে নামানো হয় ওডাফাকে। বিরতির পরই অবশ্য দীপেন্দু বিশ্বাসের পরিবর্তে নামানো হয় টোলগেকে। দীর্ঘদিন বাদে চোট সারিয়ে ফেরা টোলগেকে অবশ্য সেভাবে ছন্দে পাওয়া গেল না। ম্যাচের শেষ আধঘণ্টা ওডাফা-টোলগে জুটি খেলেন। কিন্তু দেশের সবচেয়ে দামী স্ট্রাইকার জুটি মহামেডানের অনামী ডিফেন্ডারদের জালে ধরা পড়ে গেল। সত্যি ২০১২ সালটা অভিশপ্ত বছর বাগানে। সেই অভিশপ্ত বছরের শেষটাও আতঙ্কের হল।
হারের ঘায়ে চোটের ধাক্কা: সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মোহনবাগানের। ডার্বি বিতর্ক চলছে। তার সঙ্গে নিম্নমুখী পারফরম্যান্স গ্রাফ। সমস্যা আরও বাড়িয়েছে দলের ফুটবলারদের চোট। এদিন চোট নিয়ে আরও সমস্যা বাড়ল মোহনবাগানে। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচে মাঠে কামব্যাক করলেন টোলগে। আর এদিনই পুরনো চোটের জায়গায় আবার চোট পেলেন ওডাফা।
ম্যাচের পর প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সকের কাছে গেলেন ওডাফা। নাইজেরীয় গোলমেশিনের চোট চাপে ফেলে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। তবে আরেক তারকা টোলগের দাবি,আর দু-তিনটি ম্যাচ পরই পুরো নব্বই মিনিটের জন্য ফিট হয়ে যাবেন। কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্বীকার করেন,যে কার্যত বাধ্য হয়েই চোট পুরোপুরি না সারা ওডাফাকে মাঠে নামান তিনি।