ওপারা-বেলো দুই ম্যাচ নির্বাসিত
মাঠের ভিতরেই মারামারি করে নির্বাসিত হলেন ইস্টবেঙ্গলের ওপারা এবং প্রয়াগের বেলো রজ্জাক। গত ১৬ ডিসেম্বর আইলিগে প্রয়াগ ইউইনাইটেড-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে গণ্ডগোলের জড়িয়ে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ওপারা এবং প্রয়াগের বেলো রজ্জাক। দুজনকেই দুই ম্যাচ করে নির্বাসিত করল ফেডারেশন। পাশাপাশি দুজনেরই পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মাঠের ভিতরেই মারামারি করে নির্বাসিত হলেন ইস্টবেঙ্গলের ওপারা এবং প্রয়াগের বেলো রজ্জাক। গত ১৬ ডিসেম্বর আইলিগে প্রয়াগ ইউইনাইটেড-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে গণ্ডগোলের জড়িয়ে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ওপারা এবং প্রয়াগের বেলো রজ্জাক। দুজনকেই দুই ম্যাচ করে নির্বাসিত করল ফেডারেশন। পাশাপাশি দুজনেরই পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেই ম্যাচে কেরলের রেফারি সন্তোষ কুমার কোনও কার্ড না দেখালেও ম্যাচ কমিশনার গোয়ার অ্যান্টনি ডি’কোস্টা ফেডারেশনের কাছে এই গণ্ডগোলের রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওপারা এবং বেলো, দু’জনই শাস্তির মুখে পড়লেন। গত মরসুমেও আই লিগের ডার্বি ম্যাচে রেফারির সঙ্গে ঝামেলা করায় ওপারাকে দু’ম্যাচ নির্বাসিত করেছিল ফেডারেশন। গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়েছিল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। ইস্টবেঙ্গল কর্নার পাওয়ার পর প্রয়াগ বক্সে উঠে আসেন ওপারা। তখনই তিনি প্রয়াগের বেলোকে কনুই দিয়ে মেরে হলুদ কার্ড দেখেন। ওপারার কনুইয়ের আঘাতে বেলোর ঠোঁটের অনেকটাই কেটে যায়। রক্ত ঝরতে থাকে। এর পর ম্যাচ চলার সময় আরও দু’-একবার ঝামেলায় জড়ান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নাইজিরিয়ান স্টপার। তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ওপারার সঙ্গে বেলো হাত মেলাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও ক্ষুব্ধ থাকা ওপারা তেড়ে যান বেলোর দিকে তেড়ে যান। এর পরই দুই ফুটবলারের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি শুরু লেগে যায়।
ইস্টবেঙ্গল এবং প্রয়াগের বাকি ফুটবলাররা কোনও ক্রমে উগা আর বেলোকে আলাদা করেন। জার্সি খুলে বেলো গজরাতে গজরাতে ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেও শান্ত হননি ওপারা। নিজের জার্সি খুলে বেলোর পেছনে উন্মত্তের মতো তেড়ে যান তিনি। তাঁকে থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন প্রয়াগের র্যান্টি মার্টিন্স। কিন্তু গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে ওপারার ঘুষি এসে লাগে প্রয়াগের রফিকের মুখে। ম্যাচ শেষ হওয়ার দু’ঘণ্টা পরেও ওপারার রাগ কমেনি। উত্তেজিত হয়ে বলছিলেন, “হাত মেলাতে এসে বেলো আমাকে প্রচণ্ড গালাগালি করেছে। ওর জন্যই পুরো ঝামেলাটা।”