এবার ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ অলিম্পিকেও‌!

ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া এবার থাবা বসাল অলিম্পিকেও। গড়াপেটার অভিযোগে বুধবার ৮ জন মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের যোগ্যতা বাতিল করেছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ জন, চিনের ২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ার ২ জন খেলোয়াড়।

Updated By: Aug 1, 2012, 08:52 PM IST

ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া এবার থাবা বসাল অলিম্পিকেও। গড়াপেটার অভিযোগে বুধবার ৮ জন মহিলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়ের যোগ্যতা বাতিল করেছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ জন, চিনের ২ জন এবং ইন্দোনেশিয়ার ২ জন খেলোয়াড়। তাঁদের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে।   
যেই ৪ জুটি এই শাস্তির কোপে পড়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন
শীর্ষবাছাই জুটি দক্ষিণ কোরিয়ার জঙ কিয়াং-ইয়ান ও কিম হা-না।  
দক্ষিণ কোরিয়ারই তৃতীয় বাছাই জুটি হা জঙ-ইয়ান ও কিম মিন জঙ।
চিনের ইউ ইয়াং ও ওয়্যাং জিয়াওলি জুটিকে প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার মেলিয়ানা জুয়াহারি ও গ্রেসিয়া পলি জুটিকেও একই শাস্তির কোপে পড়তে হয়েছে।  
অভিযোগ, গ্রুপ পর্যায়ের প্রথমদিকের ম্যাচে ইচ্ছাকৃতভাবে হেরে গিয়েছে অভিযুক্ত চার জুটি। কারণ, গ্রুপের পরবর্তী ম্যাচে যাতে প্রতিপক্ষ নিজেদের পছন্দমতো হয় এবং পরে জয়ের রাস্তা যাতে অপেক্ষাকৃত সহজ হয়, সেই হিসেবে অঙ্ক কষে অভিযুক্ত দলগুলি হেরে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচ খেলেছে। অভিযুক্ত দলগুলির খেলার মান এতে এতটাই নেমে যায়, যে একসময় উত্তেজিত দর্শকরা পর্যন্ত তাঁদের লক্ষ্য করে কটূক্তি শুরু করে। ম্যাচ রেফারিকেও একাধিকবার তাঁদের এনিয়ে সতর্ক করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এরপরও ম্যাচ হারতে নিজেদের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া, চিন ও ইন্দোনেশিয়ার চার জুটি। যার ফল দাঁড়ায় অত্যন্ত নিম্নমানের খেলা।  
ইচ্ছে করে খারাপ খেলার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ সাং হান-কুক। তবে তাঁর বক্তব্য, এর শুরুটা করেছিল চিন। চিনও অভ্যন্তরীণভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। সবমিলিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে অলিম্পিকের ভাবমূর্তি নিঃসন্দেন্দে বড়সড় ধাক্কা খেল।  
 

.