লন্ডন অলিম্পিকে পদকের দাবিদাররা
আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি লন্ডন অলিম্পিকের। তারকাদের পদক জয়ের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব, তাকিয়ে তাঁদের দেশ। সেই তারকারা, যাঁদের পদক জয়ের উপর তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব:
আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি লন্ডন অলিম্পিকের। তারকাদের পদক জয়ের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব, তাকিয়ে তাঁদের দেশ। সেই তারকারা, যাঁদের পদক জয়ের উপর তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব:
উসেইন বোল্ট
শুরু করা যাক উসেইন বোল্টকে দিয়ে। বিদ্যুতের নাম উসেইন বোল্ট, ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে জামাইকার এই বিদ্যুতপুরুষ গত বেজিং অলিম্পিকে অভিষেকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ১০০ মিটারে ইতিহাস গড়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি। মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করে সোনা জয় নিশ্চিত করেছিলেন বোল্ট। তিনি সোনা জিতেছিলেন ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার রিলে রেসেও। এবারও দারুন ছন্দে রয়েছেন বোল্ট। তাঁর দিকে তাকিয়ে তাঁর দেশ জামাইকা।
লিন ডান
চিনের ক্রীড়াজগতে কিংবদন্তী নাম লিন ডান। কী জেতেননি লিন ডান! অলিম্পিকে সোনা, বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ, বিশ্বকাপ, থমাস কাপ সহ ৯ টি গুরুত্বপূর্ন টুর্নামেন্টের সবকটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন চিনের এই ব্যাডমিন্টন তারকা। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে স্বপ্নের ফাইনালে লি চং ওয়েইকে হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ২০১২-র অলিম্পিকেও ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের বিভাগে সোনা জয়ের সেরা বাজি লিন ডান-ই।
সাইনা নেহওয়াল
সুইস ওপেন, ইন্দোনেশিয়া ওপেন জয়ের পর অলিম্পিকে ভারতের পদক জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নাম এখন সাইনা নেহওয়াল। ব্যাডমিন্টনে সাইনার হাত ধরে পদক আসছেই। এমনটাই দাবি ক্রীড়ামহলের। গত অলিম্পিকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেও, এই অলিম্পিকে পদক জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল সাইনার।
লেব্রন জেমস
পেশায় তিনি মিয়ামির হেড গার্ড। তবে বিশ্ব তাঁকে চেনে কিবদন্তী বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমস নামেই। মাইকেল জর্ডন, ম্যাজিক জনসনের দেশের যোগ্য উত্তরসূরি লেব্রন গত অলিম্পিকে বাস্কেটবলে সোনাজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের গুরুত্বপূর্ন সদস্য ছিলেন। এবারও বাস্কেটবলে পদকজয়ের ক্ষেত্রে তাঁর উপরই ভরসা রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নেইমার
মাত্র ২০ বছর বয়স। ইতিমধ্যেই তুলনায় চলে এসেছেন মেসির সঙ্গে। পেলে তাঁর সঙ্গে মেসির তুলনা করলেও, বাহারি চুলের অধিকারী নেইমার অবশ্য তা মানতে নারাজ। ২০১৪ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ব্রাজিলের বড় ভরসা নেইমার। তার আগে অলিম্পিকে ব্রাজিলকে পদক এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে সদ্য টিনএজ পেরোনো নেইমার হতে চলেছেন সেরা বাজি।
টিওন ডি নুইয়ার
৩৬ বছর বয়সেও স্টিক-বলের লড়াইয়ের দেশের ভরসা নেদারল্যান্ডসের টিওন ডি নুইয়ার। ১৯৯৬ ও ২০০০ অলিম্পিকে নেদারল্যান্ডসের সোনাজয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়েছিলেন টিওন। মাঝের ৩ টি অলিম্পিকে নেদারল্যান্ডস সোনা জিততে পারেনি। ৩ বার বিশ্বহকিতে বর্ষসেরা হওয়া টিও ডি নুইয়ারের দিকেই পুনরায় সোনা জয়ের জন্য তাকিয়ে নেদারল্যান্ডস।
মাইকেল ফেল্পস
কিংবদন্তী সাঁতারু ল্যারিসা ল্যাটিনিনার পদক জয়ের রেকর্ডের খুব কাছাকাছি মাইকেল ফেল্পস। ৩ টি অলিম্পিকে ল্যাটিনিনা জিতেছিলেন ১৮ টি পদক। বেজিং অলিম্পিক পর্যন্ত ফেল্পসের পদক সংখ্যা ১৬। ২০০০ এবং ২০০৮ অলিম্পিক মিলিয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা ফেল্পস সোনা জয়ের রেকর্ডে টপকে গিয়েছেন অগ্রজ স্পিত্জের। বেজিংয়ে সাঁতারে জিতেছেন ৮টি সোনা। এবারও নামছেন ৭ টি ইভেন্টে। ফেল্পসের জাদুর অপেক্ষায় বিশ্ব।
নোভাক জোকোভিচ
উইম্বলডনের পর রজার ফেডেরারের কাছে নিজের একনম্বর স্থান খুঁইয়েছেন ঠিকই। কিন্তু নোভাক জোকোভিচের ধারাবাহিক সাফল্যকে অগ্রাহ্য করার সাধ্যি নেই টেনিস বিশ্বের। সার্বিয়ার জোকোভিচ ফেডেরার, নাদালদের ভিড়ে নিজের আলাদা জায়গা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন টেনিসবিশ্বে। উইম্বলডন, ফরাসি ওপেন হাতছাড়া হলেও জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। গত অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী নোভাক জোকোভিচের দিকে এবারও পদকের আশায় তাকিয়ে ছোট্ট দেশ সার্বিয়া।