Lionel Messi and Kylian Mbappe: মেসি, এমবাপে, নেইমারের পিএসজি-কে হারিয়ে অবিশ্বাস্য জয় পেল রেঁনে
লিগে দাপট দেখালেও সাম্প্রতিক সময়ে রেঁনের মাঠে সাফল্য ছিল না পিএসজির। এর আগে তিনটি ম্যাচের দুটিতে হার ও একটিতে ড্র ছিল। সেই একই ধারা বজায় রেখে রবিবার রাতেও শুরু থেকেই ভুগেছে পিএসজি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্যারিস সঁ জরমঁ (Paris Saint Germain) শিবিরে ওঁরা তিনজন অনেকটা ব্রম্ভা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মতো। ওঁরা হলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi), কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe), ও নেইমার জুনিয়র (Neymar Jr)। অথচ বিশ্ব ফুটবলের তিন মহাতারকার দল পিএসজি-কে (PSG) হেলায় হারিয়ে দিল পাঁচ নম্বরে থাকা রেঁনে (Rennes)। লিগ ওয়ান (Ligue 1) প্রতিযোগিতায় এই হারের পর থেকে ক্রিস্টোফ গালটিয়েকে (Christophe Galtier) পিএসজি-র বিরুদ্ধে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। রবিবার হামারি ট্রাওরে-র (Hamari Traore) একমাত্র গোলে পিএসজি-কে ১-০ গোলে হারিয়েছে রেঁনে। তবে চলতি মরসুমের দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে মেসিরা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেও, লিগ তালিকায় পিএসজি-র অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। ১৯ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে পিএসজি। সঙ্গে রয়েছে ১৫টি জয়। ২টি হার ও ২টি ড্র।
লিগে দাপট দেখালেও সাম্প্রতিক সময়ে রেঁনের মাঠে সাফল্য ছিল না পিএসজির। এর আগে তিনটি ম্যাচের দুটিতে হার ও একটিতে ড্র ছিল। সেই একই ধারা বজায় রেখে রবিবার রাতেও শুরু থেকেই ভুগেছে পিএসজি। মেসি যখন বক্সের সামনে থেকে ম্যাচের প্রথম শটটি নেন, ততক্ষণে ১৯ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: IND vs ENG: একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট! ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করল ভারত
আরও পড়ুন: Santosh Trophy 2023: মহারাষ্ট্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে অপরাজেয় থেকে মূলপর্বে বাংলা
শুরু থেকে আক্রমণভাগে মেসি, ইমারের সঙ্গে ছিলেন উগো একিতিকে। প্রথমার্ধে তিনজনে মিলে সুযোগ তৈরি করতে পেরেছেন কমই। উল্টো মাঝমাঠে মার্কো ভেরাত্তির অভাব ফুটে উঠেছিল বারবার। আক্রমণে বলের জোগান যেমন পর্যাপ্ত ছিল না, রেঁনেও রক্ষণে হানা দিচ্ছিল বারবার। প্রথমার্ধেই পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে দুটি দারুণ সেভ করেছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে বন্ধু আছরাফ হাকিমির সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন এমবাপে। ফেরার পর এটিই ছিল দুজনের প্রথম ম্যাচ। ৫৬ মিনিটে এমবাপে ও হাকিমিকে একসঙ্গে বদলি হিসেবে মাঠে নামান পিএসজি কোচ। আক্রমণে ধার বাড়বে কী, এর নয় মিনিট পর উল্টো গোল খেয়ে বসে পিএসজি। ৬৫ মিনিটে সতীর্থের থেকে পাওয়া বলে রেঁনেকে এগিয়ে নেন হামারি ট্রাওরে।
পাঁচ মিনিট পরই গোলটি শোধ দেওয়ার সুযোগ ছিল এমবাপের সামনে। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন মেসি। ক্ষিপ্র গতিতে বল ধরে ডি বক্সেও ঢুকে পড়েন ফ্রান্সের তারকা। কিন্তু রেঁনের গোলকিপারকে এক পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে শট পোস্টের উপর দিয়ে মেরে দেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি তারকা। ক্লাব কেরিয়ারের ৩০০তম ম্যাচে মুখ ঢাকেন হতাশায়। এরপর ম্যাচের বাকি সময় আর বড় কোনও সুযোগই তৈরি করতে পারেনি পিএসজি। মেসি-নেইমার-এমবাপে ত্রয়ী হেরে মাঠ ছাড়েন।