সচিনকে, কপিলের কাছে এমনও শুনতে হল, বীরুর মতো খেললে, তিনি নাকি আরও ভাল ক্রিকেটার হতেন!
খালিজ টাইমসের খবরে কেঁপে উঠেছে ক্রিকেট দুনিয়া। মাত্র ৯৬ ঘণ্টা আগে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ভূমিকম্পে এক সঙ্গে কেঁপে উঠেছে পড়শি তিন দেশ। আর বৃহস্পতিবার কেঁপে উঠল গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।
ওয়েব ডেস্ক: খালিজ টাইমসের খবরে কেঁপে উঠেছে ক্রিকেট দুনিয়া। মাত্র ৯৬ ঘণ্টা আগে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ভূমিকম্পে এক সঙ্গে কেঁপে উঠেছে পড়শি তিন দেশ। আর বৃহস্পতিবার কেঁপে উঠল গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।
বলছেন কী, দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক!দেশের তামাম মিডিয়ায় হেডলাইন একটাই-সচিন তেন্ডুলকরকে খোঁচা কপিলের। কারণ, কপিল বলেছেন, ‘’সচিন তেন্ডুলকর ১০০ করতে জানে। কিন্তু, কীভাবে সেটা ২০০ বা ৩০০ কিংবা ৪০০ করতে হয় সেটা জানে না।’’
কপিল দেব নিখঞ্জের এই বক্তব্যতেই দুলে উঠেছে আসমুদ্র হিমাচল। কপিল কথাটি বলেছেন দুবাইতে। কিন্তু সে তো ‘’ভূমিকম্পের উত্সস্থল’’। তাই ভাল করে, কপিল দেবের বলা কথাগুলি পড়ে নিতে হল। কারণ, দুটো। এক, যিনি কথাটি বলছেন, তাঁর নাম কপিল দেব। এ দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধনিয়াক। আর দুই, যাঁকে নিয়ে কথাগুলো বলা হয়েছে, তাঁর নাম সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। তাঁকে লোকে ’’ক্রিকেট ঈশ্বর’’ নামেই চেনে।
আমরা বরং, সাজিয়ে দিই, ঠিক যে কথাগুলো দুবাইতে ওয়াসিম আক্রম, ইযান বথাম এবং শেন ওয়ার্নকে সঙ্গে নিয়ে কপিল দেব সচিন সম্পর্কে বলেছেনঃ
১) ’’সচিন জানতো না, কীভাবে ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরি এমনকি ৪০০ রান করা যায়। কিন্তু সচিনের সেই ক্ষমতা ছিল।’’
২) ’’অনুগ্রহ করে আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমার মনে হয়, সচিন ওর প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। আমার সব সময় মনে হয়, সচিন যা করেছে, ও তার থেকে অনেক বেশি কিছু করতে পারত।’’
৩) ’’সচিন ওর ক্রিকেট ঘরানাটা মুম্বই ক্রিকেট ঘরানার মাঝেই আটকে রেখেছিল। ও কখনওই নির্মম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তোলেনি।আমার মনে হয় সচিনের অনেক বেশি সময কাটানো উচিত ছিল ভিভিয়ান রিচার্ডসের সঙ্গে। সেটা না করে ও মুম্বইযের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় বেশি কাটিয়েছে।’’
4) ’’সচিন দুর্দান্ত ক্রিকেটার।কিন্তু এটাও বলতে হবে, সচিন কীভাবে ১০০ করতে হয় জানে।কিন্তু সচিন জানত না, কীভাবে ওই ১০০টাকেই ২০০ বা ৩০০ কিংবা ৪০০ করতে হয়।’’
5) ’’সচিনের খমতা ছিল। টেকনিকালিও ও সাউন্ড।কিন্তু ওর যেন ভাবনা ছিল, ক্রিজে যাবে একটা সেঞ্চুরি করবে, আর হয়ে গেল।রিচার্ডস ছিল নিষ্ঠুর, নির্মম। সেখানে সচিন অনেক বেশি পারফেক্ট।সঠিক ক্রিকেট খেলত। আমি ওর সঙ্গে অনেক সময় একসঙ্গে কাটিয়েছি।প্রায়ই বলতাম, তুমি তোমার ক্রিকেটটা উপভোগ করো বীরেন্দ্র সেহবাগের মতো।তাহলে তুমি আরও ভাল ক্রিকেটার হিসেবে পরিণত হবে।’’
সচিন সম্পর্কে কপিল দেবের পুরো কথাটা খুঁটিযে পড়ে মনে হচ্ছে, অনুজ সচিন সম্পর্কে একটু আধটু খোঁচা নয়, বরং বাউন্সারটা বড়সড়ই দিয়েছেন কপিল।না হলে, সেহবাগ অবসর নেওযার এক সপ্তাহের মাথায় কেনই বা দুম করে বলতে যাবেন যে, সেহবাগের মতো ক্রিকেটটা উপভোগ করলে তুমি আরও বড় ক্রিকেটার হবে।