Shah Rukh Khan and Rinku Singh, KKR: সংসার বাঁচাতে রাস্তায় ঝাঁট দেওয়া রিঙ্কুর সঙ্গে সেলিব্রেট করলেন 'কিং খান', দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
রিঙ্কুর গল্পের শুরুটা কিন্তু একেবারেই মসৃণ ছিল না। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে জন্ম হওয়ার পর থেকেই রিঙ্কুকে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শার্দুল ঠাকুরের (Shardul Thakur) ২৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস বিপক্ষকে অনেকটা জবাই করার মতো হয়ে থাকলে, রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Chellengers Bangalore) বোলারদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছেন। বাঁহাতি ব্যাটারের ৩৩ বলে ৪৬ রান যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (Kolkata Knight Riders) কাছে এতটাই মহামূল্যবান। এমন দুটি ইনিংসের পর তিন স্পিনারের বোলারদের বাইশ গজে দুরন্ত পারফরম্যান্স। বিপক্ষকে ৮১ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর অনেক রাত পর্যন্ত টিম হোটেলে চলেছে সেলিব্রেশন। সেখানেই নাইটদের সঙ্গে নাচলেন দলের প্রাণভোমরা শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
শাহরুখের অনুরোধেই রিঙ্কু সবার সামনে গাইলেন দলের অ্যান্থেম গান। 'বুকে হাত রেখে গাও, কেকেআরের হয়ে খেলাই আমাদের কাছে সব। ইডেন গার্ডেন্সেই হোক বা যে কোনও জয়, সেটা তোমার বা আমার থেকেও বেশি। আমরা কেকেআরের হয়ে খেলি। বেগনি আমাদের রক্তে আছে...'। অবশ্য গোটা দল তাঁকে সঙ্গও দেয়। নাইটদের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় শাহরুখকে বলতে শোনা গিয়েছে, রিঙ্কু যে ভাবে গান করবেন বাকিরাও সেটা অনুসরণ করবেন। রিঙ্কু কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। মাঝে এক বার বলে ওঠেন, গানটা ইংরেজিতে। তাতে বাকিরা আরও হেসে ওঠেন। তার পরে দু’দলের গান শুরু হয়।
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 6, 2023
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 7, 2023
এহেন রিঙ্কুর গল্পের শুরুটা কিন্তু একেবারেই মসৃণ ছিল না। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে জন্ম হওয়ার পর থেকেই রিঙ্কুকে দারিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। তাঁর বাবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিলিন্ডার ডেলিভারির কাজ করতেন। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার শখ ছিল রিঙ্কুর। কিন্তু, আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সেই শখ তিনি বুকের মধ্যেই পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: Exclusive, Wriddhiman Saha: ক্রোড়পতি লিগে জোড়া নজির! তবুও নির্লিপ্ত থাকছেন 'টিম ম্যান' ঋদ্ধি
রিঙ্কুর বড় দাদা অটো চালাতেন, আর মেজ দাদা পড়াতেন কোচিং সেন্টারে। এতে কিছুটা হলেও পরিবারের হাতে টাকাপয়সা আসত। ক্লাস নাইনে ফেল করার পর রিঙ্কু আর খুব বেশি পড়াশোনা করেননি। সেইজন্য ভালো চাকরিও জোটেনি। একটা সময় তিনি দাদার কাছে চাকরিতে ঢোকানোর কথা বলেছিলেন। তাঁর দাদা তাঁকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তাঁর জন্য ঝাড়ু দেওয়ার কাজ বরাদ্দ ছিল।
ততদিনে অবশ্য রিঙ্কু জেনে গিয়েছেন যে তাঁর জীবন যদি কেউ বদলাতে পারে, সেটা একমাত্র ক্রিকেট। একটা সময় তিনি ঠিক করে ফেলেন যে ক্রিকেটের উপরই পুরোপুরি নিজের নজর রাখবেন। উল্লেখ্য, দিল্লিতে একটি টুর্নামেন্ট চলাকালীন ম্যান অফ দ্য সিরিজের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে একটি মোটরবাইক উপহার দেওয়া হয়। সেই বাইকটা তিনি সিলিন্ডার ডেলিভারির কাজে ব্যবহার করেছিলেন। আর সেই ক্রিকেটই রিঙ্কুর জীবন বদলে দিল।