হরভজন পিছন থেকে ছুরি মারে, বললেন শ্রীসন্থ

শ্রীসন্থ আবার খবরে ফিরলেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই, এবারও ক্রিকেটীয় কারণে নয়। আইপিএলের ভরা মরসুমে কেরালার এই পেসার এমন একটা বিতর্ক তুললেন যা নিয়ে বাজার গরম করা যায়। শ্রীসন্থ ঝুলি থেকে বের করলেন আইপিএলের চড় কাণ্ড (`স্ল্যাপ গেট` বিতর্ক)। হরভজন সিংয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে শ্রীসন্থের অভিযোগ, পুরো ঘটনাটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত৷ বললেন, ও পিছনে থেকে ছুরি মারে। আর অন্য কেউ নয়, পিছন থেকে ছুরি মারার কাজটি করেছিলেন ভাজ্জি৷ সঙ্গে যোগ করেছেন, হরভজন তাঁকে চড় মারেননি৷ কিন্তু 'পিঠে ছুরি মেরেছিলেন'৷ 
বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে প্রকাশ্য বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বিরাট কোহলি। এই ঘটনায় যখন দেশের ক্রিকেটমহল সরগরম, তখনই পুরনো বিতর্ক ফিরিয়ে আনলেন শ্রীসন্থ।
আইপিএলের প্রথম মরসুমে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলা শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ন্সের হরভজন সিং। ভাজ্জির চড় খেয়ে মাঠেই শ্রীসন্থ কেঁদে ফেলছিলেন। এই চড় কাণ্ডের জেরে ভাজ্জিকে নির্বাসিত হতে হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর পর শ্রীসন্থ এখন উল্টো গাইছেন।
আজ টুইটারে শ্রীসন্থ লিখেছেন, সেদিন হরভজন তাঁকে চড় মারেননি। সেদিন একটা ঝামেলায় চড়ের মত কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে এরপর মারাত্মক অভিযোগ করছেন বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য পেসার। শ্রীসন্থ বলেছেন, সেদিন তিনি ভাজ্জির সঙ্গে হাত মেলাতে গেছিলেন। কিন্তু হরভজন মেজাজ হারিয়ে তাঁকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ শ্রীসন্থের। যথারীতি বলেছেন, পুরো অধ্যায়ের পিছনে তাঁর কোনও দোষ নেই।
এতদিন পরে কেন এই বিষয়ে মুখ খুলছেন। তার কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে বলেছেন, `ভয় পেয়েছিলাম যদি এর ফলে দলে যদি নিজের ঠাঁই না পাই`।

বিনা প্ররোচনাতেই শ্রীসন্থকে চড় মেরেছিলেন হরভজন সিং। কুখ্যাত স্ল্যাপগেট কেলঙ্কারি নিয়ে তদন্তের পর একথাই জানালেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুধীর নানাবতী। আজ তিনি জানিয়েছেন, আইপিএলের যে ম্যাচে ওই চড় মারা কাণ্ড ঘটেছিল তাতে শ্রীসন্থ ছিল নির্দোষ।
তার দিক থেকে কোনও প্ররোচনাই ছিল না। অথচ বিনা প্ররোচনাতেই তাঁকে চড় মারেন স্বভাব ক্রুদ্ধ হরভজন। দ্বিতীয়বারও তাকে চড় মারতে গিয়েছিলেন ভাজ্জি। কিন্তু সেটা রুখে দেন শ্রীসন্থ। বছর খানেক আগে ঘটা এই ঘটনা ছিল দুজনের মধ্যে হওয়া ড্রেসিং রুম পুরনো বিবাদের জেরে। ড্রেসিংরুমে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল কোনও ক্যাচ মিস বা পোশাক বদল ইস্যুতে। তার জের গড়ায় মাঠে।