গ্রুপ-ডি চাকরি পাওয়ার আশায় দরজায়-দরজায় ঘুরছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক
দেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ঠিক যেমন বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়ক, তেমনই।
নিজস্ব প্রতিবেদন- দেশের হয়ে খেলেছেন। শুধু খেলেছেন বললে কম বলা হবে। দেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ঠিক যেমন বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের অধিনায়ক, তেমনই। কিন্তু বিরাট কোহলির সঙ্গে তাঁর অবস্থার আকাশ-পাতালের থেকে বেশি দৃরত্বের ফারাক। ক্রিকেট, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টসহ আরো কত কিছুতে বিরাট কোহলির কয়েকশো কোটির উপার্জন। আর তিনি! সামান্য একটা গ্রুপ ডি সরকারি চাকরির জন্য দরজার দরজার ঘুরছেন। কেন এমন দ্বিচারিতা! তিনিও তো ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফারাক শুধু এটুকুই যে তিনি বিশেষভাবে সক্ষমদের ক্রিকেটে খেলেছেন। তাই তিনি হয়তো কোহলির মতো মূল্য পাননি।
দীনেশ শেন। হরিয়ানার সোনপতে বাড়ি তাঁর। হরিয়ানা সরকারের কাছে চাকরির আবেদন করে হাঁপিয়ে গিয়েছেন। এবার তাই ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা-র অফিসে গ্রুপ-ডি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই চাকরিটাও হয়নি। এর আগেও একাধিকবার হরিয়ানা সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। যাতে তাঁকে অন্তত একটা গ্রুপ ডি পদে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেটাও জোটেনি। জুতোর শুকতলা খয়ে গিয়েছে দীনেশের। এদেশের হতভাগা, কপালপোড়া শিক্ষিত বেকার ছেলেদের মতোই দুরাবস্থা তাঁর। এর আগে সোনপথ জেলা আদালতে কন্ট্র্যাকট-এর অধীনে গ্রুপ ডি পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। মৌখিক ইন্টারভিউতে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন। এমনকী দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আধিকারিক শুনে খুশি হয়েছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি।
আরও পড়ুন- সচিন তেনডুলকরকে তিনবার আউট করেছিলেন, আজ সেই বোলার এসি সারানোর মেকানিক
বাড়িতে স্ত্রী, এক বছরের ছেলে ও বৃদ্ধ বাবা। সংসার আর চলছে না। একটা চাকরি না জুটলে মহাসমস্যায় পড়বেন তিনি। ক্লাস টুয়েলভ পাস করার পর আইটিআই ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি। এখন আবার গ্র্যাজুয়েশন-এর জন্য ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু তাও ভাগ্যের শিকে ছিড়ছে না। আর ভারতের হয়ে এতগুলে বছর যে ক্রিকেট খেললেন! সেটার কোনও দাম নেই। সরকারের খেল যোজনার আওতায় বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটারদের রাখা হয়নি। কেন রাখা হয়নি তার কারণ জানেন না দীনেশ। তিনি অনেকবার সচিন তেণ্ডুলকর, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটাররাও ভারতের হয়েই খেলেন। তাঁদের যেন খেল যোজনার আওতায় আনা হয়। কিন্তু ওই সব চিঠির উত্তরের অবস্থাও তাঁর চাকরি পাওয়ার মতোই অধরা থেকে গিয়েছে।