Shahid Afridi | ICC | Team India: 'যে কোনও মূল্যে ভারতকে সেমি ফাইনাল খেলাতে মরিয়া আইসিসি'!
ভারতকে বিঁধে এবার আইসিসি-কে একহাত নিলেন শাহিদ আফ্রিদি। তাঁর বক্তব্য টিম ইন্ডিয়াকে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলাতে মরিয়া আইসিসি। আফ্রিদি বলছেন যে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এবং ভারতের মধ্যে চলছে অন্য খেলা!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত-বাংলাদেশ (IND vs BAN, ICC T20 World Cup 2022) ম্য়াচের দু'দিন পরেও বিতর্ক অব্যাহত। গত বুধবার অ্যাডিলেড ওভালে (Adelaide Oval) বৃষ্টির জন্য ডাকওয়ার্থ লুইস (D/L method) নিয়মে খেলা হয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে ভারত এই ম্যাচ জিতে যায় পাঁচ রানে। ম্যাচ শেষের পর একটি বিষয় নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে। অ্যাডিলেডের বৃষ্টি ভেজা মাঠে খেলা অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেছেন, পাশাপাশি ওই মাঠ খেলার অযোগ্য ছিল বলেও দাবি বহু মানুষের। যদিও এহেন প্রতিক্রিয়া মূলত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি সমর্থকদের দিক থেকে এসেছে। এবার আইসিসি-র (ICC) বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও তারকা অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi)। আফ্রিদির বক্তব্য ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ভারতের দিকেই ঝুঁকে!
আফ্রিদি এক পাক চ্যানেলে বলেছেন, 'সকলেই দেখেছে যে, মাঠ ভেজা ছিল। কিন্তু আইসিসি ভারতের দিকেই ঝুঁকে। যে কোনও মূল্যে ভারতকে সেমি ফাইনাল খেলাতে মরিয়া আইসিসি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আম্পায়াররাই ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে। ওরা সেরা আম্পায়ারের পুরস্কার পাবে। যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছিল সেদিন, সেখানে বৃষ্টি থামার পরেই সঙ্গে সঙ্গে খেলা শুরু করার কোনও মানে হয় না। পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল যে, এখানে অনেক কিছু জড়িয়ে রয়েছে। আইসিসি ও ভারত অন্য খেলা খেলছে। চাপের সঙ্গেই অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে। কিন্তু সেদিন লিটন দারুণ ব্যাটিং করেছে। ও পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে। ছয় ওভারের পর আমাদের মনে হয়েছিল, বাংলাদেশ যদি উইকেট না হারিয়ে আরও ২-৩ ওভার খেলে দিতে পারে, তাহলে ওরা ম্যাচ জিতে যাবে। আমি বলব, বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করেছে।'
অ্যাডিলেডে বিরাট কোহলি নাকি ‘ভুয়ো ফিল্ডিং’ করেছেন! বাংলাদেশি সমর্থকদের অনেকেই তাঁকে 'প্রতারক' বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই প্রসঙ্গে ক্রিকেট পণ্ডিত হর্ষ ভোগলে লম্বা ট্যুইট করে লেখেন, 'ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের ঘটনায় বলতে পারি যে, এ এমনই এক সত্য, যা কেউ দেখেনি। আম্পায়ার থেকে ব্যাটার, কেউ না। এমনকী আমরাও দেখিনি। ক্রিকেট আইনের ৪১.৫ ধারা মেনে ভুয়ো ফিল্ডিংয়ের জন্য পেনাল্টির নিয়ম রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেক্ষেত্রেও আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু যে ঘটনা নিয়ে কথা হচ্ছে, তা কেউই চোখে দেখেনি। তাহলে আর কী করণীয়! আমার মনে হয় না, ভেজা মাঠ নিয়ে কেউ অভিযোগ জানাতে পারে। সাকিব ঠিকই বলেছে, ভেজা মাঠ ব্যাটিং সাইডের ফেভারেই থাকে। আম্পায়ার ও কিউরেটরদের কাজই হচ্ছে খেলা চালিয়ে যাওয়া যতক্ষণ সম্ভব। ওরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিষয়টি দেখেছে। যাতে ন্যূনতম সময় নষ্ট হয়। বাংলাদেশি বন্ধুদের বলব, লক্ষ্যপূরণ করতে না পারার জন্য ভুয়ো ফিল্ডিং বা ভেজা মাঠের কারণ দেবেন না। কোনও একজন ব্যাটার শেষ পর্যন্ত থেকে গেলে, বাংলাদেশ হয়তো জিততে পারত। যখন আমরা অজুহাত খুঁজি তখন আমার সকলেই দোষী। এভাবে উন্নতি করা যায় না।' পাকিস্তান হোক বাংলাদেশ, ভারতের কাছে হারলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে।