শ্রীনিকে নির্বাসনে পাঠাতে গণপদত্যাগের পথে বোর্ড কর্তারা

স্পট ফিক্সিং বিতর্কে আইসিসি সতর্ক করল বিসিসিআইকে। বোর্ড প্রধানের জামাই বেটিং কেলেঙ্কারির মত গুরুতর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় বিসিসিআইকে রীতিমত হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠাল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। বোর্ড প্রধান এন শ্রীনিবাসন অবশ্য লজ্জা এড়াতে বললেন, এমন কোনও চিঠি আমরা পায়নি।

Updated By: May 31, 2013, 07:31 PM IST

ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটতে চলেছে। ঘটনাটা আজ রাতেই ঘটাতে চলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। সভাপতি নিজে সরতে চান না তাই আজ রাতেই গণপদত্যাগ করতে চলেছেন বোর্ড কর্তারা। সূত্রের খবর সব সহসভাপতিরাই ইস্তফা দিয়ে দেবেন।
ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দিয়েছেন বোর্ড সচিব সঞ্জয় জগদালে এবং কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সিরকে। সূত্রের খবর  রাতে একে একে পদত্যাগ করার পর, কলকাতায় ডালমিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে স্পট ফিক্সিং নিয়ে বিসিসিআইয়ের যুগ্ম সচিব অনুরাগ ঠাকুরের মুখ খোলা থেকে একের পর এক ইস্তফা, শেষমেষ বোর্ড প্রেসিডেন্টের বৈঠকের ডাক৷ শুক্রবারের সন্ধ্যার ঘটনা পরম্পরায় আরও জোরালো প্রশ্নগুলো৷
স্পট ফিক্সিং বিতর্কের জেরে বিসিসিআই থেকে পদত্যাগ করলেন বোর্ডের দুই শীর্ষকর্তা। বোর্ডের সচিব পদ থেকে সঞ্জয় জাগদালে এবং কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অজয় সিরকে ইস্তফা দিলেন। স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে বোর্ডের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিশনে ছিলেন জগদালে। শুক্রবার রাতে বোর্ড সভাপতি শ্রীনিবাসনের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন জগদালে, সিরকে।
স্পট ফিক্সিং বিতর্কে আইসিসি সতর্ক করল বিসিসিআইকে। বোর্ড প্রধানের জামাই বেটিং কেলেঙ্কারির মত গুরুতর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় বিসিসিআইকে রীতিমত হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠাল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। বোর্ড প্রধান এন শ্রীনিবাসন অবশ্য লজ্জা এড়াতে বললেন, এমন কোনও চিঠি আমরা পায়নি।
এদিকে শ্রীনিবাসনকে অপসারণ করার যাবতীয় মঞ্চ প্রস্তুত বলে দাবি করা হচ্ছে বিরোধী শিবির থেকে। আগামী ৮ জুন এমার্জেন্সি মিটিংয়ের ডাক দিল বোর্ড। মনে করা হচ্ছে সেই মিটিংয়েই শ্রীনির ভাগ্যপরীক্ষা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
অন্যদিকে বোর্ড সভাপতির জামাই গুরুনাথ মায়াপন্ন ও অভিনেতা বিন্দু দারা সিংয়ের জেল হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়ল। ফিক্সিং কাণ্ডের দুই নায়ক বিন্দু ও গুরুনাথকে আগামী ৩ জুন অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।

স্পট ফিক্সিং কান্ডে বোর্ড সভাপতি এন শ্রীনিবাসন পদত্যাগে রাজি না হলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারে বোর্ডের প্রভাবশালী কর্তারা। আগামী বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি শরদ পওয়ার, অরুণ জেটলি ও রাজীব শুক্লার মধ্যে বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। পওয়ার-জেটলিদের সমর্থনে থাকা দশ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে একটি সভা ডেকে শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দাবি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে পাঠানো হতে পারে।  

বোর্ডের মধ্যেই ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। স্পট ফিক্সিং কান্ডে শ্রীনিকে  পদত্যাগ  করার চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদি রাজি না হন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত বোর্ডের প্রভাবশালী কর্তাদের। বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি শরদ পওয়ার, অরুণ জেটলি ও রাজীব শুক্লার মধ্যে বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।
পওয়ার-জেটলিদের সমর্থনে থাকা দশ জন সদস্যের সম্মতিক্রমে একটি সভা ডেকে শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার দাবি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে পাঠানো হতে পারে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি অনুমতি দিলে ওয়ার্কিং কমিটিতে তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের ও বিশেষ সাধারণ সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন নিয়ে শ্রীনিবাসনকে পদত্যাগ করানোর পরিকল্পনা নিতে চলেছে বিরোধী গোষ্ঠি। ওয়ার্কিং কমিটিতে ভোট হলে ৩১ ভোটের মধ্যে ১৮ টি ভোট সরাসরি শ্রীনিবাসনের বিপক্ষে পড়তে পারে বলে দাবি করেছে বিরোধী গোষ্ঠি। তাদের দাবি শ্রীনিবাসনের পক্ষে আছে মাত্র ছয় ভোট। সাতটি ভোট নিয়ে এখনও অনিশ্চিয়তা রয়েছে। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী শ্রীনিবাসনের পদত্যাগের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।

.