ক্রিকেটার না হলে সেলসম্যান হতেন বিরাট, বেচতেন অ্যাকোয়াগার্ড
বিরাটময় বছর কাটানোর পর যদি এই প্রশ্নটা আসে, বিরাট যদি ক্রিকেটার না হত, তাহলে কী হত? যা খুশি ভাবতেই পারেন, তবে পেটুক বিরাট কিন্তু একটা বিষয়ে সরলরেখার মত সোজা। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নস অনুষ্ঠানে এসে তারকা ক্রীড়া সঞ্চালক গৌরব কাপুরকে সাফ জানাচ্ছেন, "আমি পাক্কা একজন সেলসম্যান হতাম। ভাল সেলসম্যান। অ্যাকোয়াগার্ড বেচতাম।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: একটা 'নো বল' বাদ দিলে ভারত এই মরশুমে একশোয় একশোয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যশপ্রীত বুমরাহর একটা নো-বলই সাফল্যের ষোলকলা থেকে এক চুল দূরে থামিয়ে দিয়েছে ভারতীয় দলকে। সেই ম্যাচে জীবনদান, আর তারপরই ফকর জমানের শতরান। তাতেই আইসিসি ট্রফি হাতছাড়া বিরাট ব্রিগেডের। এছাড়া, ভারত সবেতেই এক নম্বর। টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে পয়লা নম্বর ধরে রাখাই শুধু নয়, মিশন ১-১-১ নিয়ে তিন ফর্ম্যাটেই বিশ্বের তাবড় বাহিনীকে নাকানিচোবানি খায়িয়েছে মেন ইন ব্লু।
আরও পড়ুন- শিখর পত্নী ও সন্তানদের বিমানে চড়তে বাধা, টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ ধাওয়ানের
এই মরশুমেই ভারতীয় দলের ব্যাটন হাতে তুলে সফল অজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মাও। আর বিরাট নিয়ে যত কম বলা যায় ততই ভাল। ব্যাটিং রেকর্ডে একের পর এক মাইলস্টোন। ধারাবাহিকতাকেও লজ্জায় ফেলে দিয়ে ঘুম থেকে ওঠা আর ঘুমোতে যাওয়ার মত শতরান হাসিল করাকে সহজাত করে ফেলা, একমাত্র বিরাটই পারেন। অধিনায়ক হিসেবে ভারতের একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক অস্ট্রেলিয় কিংবদন্তি স্টিভ ওয়েকে ছোঁয়া, এটাও বিরাট কারনামা। ২০১৭-তে তো 'ড্রিম গার্ল' অনুষ্কাকেও হৃদয়ে বন্দি করেছেন ভারত অধিনায়ক।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান পর্যন্ত সবথেকে বেশি ইন্টারনেট সার্চ করেছে বিরাট কোহলিকে নিয়েই। ভারতের প্রথম অ্যাথেলিট যিনি ১০০ কোটি টাকার রেকর্ড অঙ্কে ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারি বিপণন সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ব্র্যান্ড ভ্যালুতে কিং খানকেও টেক্কা দিয়েছেন তিনি। বিরাটময় বছর কাটানোর পর যদি এই প্রশ্নটা আসে, বিরাট যদি ক্রিকেটার না হত, তাহলে কী হত? যা খুশি ভাবতেই পারেন, তবে পেটুক বিরাট কিন্তু একটা বিষয়ে সরলরেখার মত সোজা। ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নস অনুষ্ঠানে এসে তারকা ক্রীড়া সঞ্চালক গৌরব কাপুরকে সাফ জানাচ্ছেন, "আমি পাক্কা একজন সেলসম্যান হতাম। ভাল সেলসম্যান। অ্যাকোয়াগার্ড বেচতাম।"
আরও পড়ুন- 'না সরলে দল থেকে বাদ দেওয়া হত সচিনকে', বিস্ফোরক সন্দীপ পাতিল
কথা হচ্ছিল ফিটনেস আর ফুড হ্যাবিট নিয়ে। সেখানেই বিরাট উবাচ, "মিষ্টির গন্ধ শুঁকেই মনে হত বানিয়েছেটা কী। আর নিজের ভাল লাগলেই সবাইকে বলতাম খাও।" তবে এখন আর সেটা হয় না। তিন ফর্ম্যাটে খেলতে হলে ফিট থাকাতেই হয়। আর সেই জন্য ২০১৭ বর্ষের অঙ্গীকার শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছেন বিরাট। শৃঙ্খলা, ফিটনেস, পেষাদারিত্ব-তিন মন্ত্রই সফলতার চাবিকাঠি, স্পষ্ট বিরাটের কথাতেই। কথায় আছে যার শেষ ভাল তার সব ভাল। বিরাট তো বাজি মেরেই দিয়েছেন। আপনি তাহলে কেন অপেক্ষা করছেন? দেখুন ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়নস আর নিরন্তর শিখুন।