Harmanpreet Kaur, Womens Asia Cup 2022: কোন ছকে এল ট্রফি? জানালেন রেকর্ডে নাম লেখানো অধিনায়ক হরমনপ্রীত
Harmanpreet Kaur, Womens Asia Cup 2022: ৬৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়েন ভারতীয়রাও। শুকনো উইকেটে শুরু থেকেই বল ঘুরছিল। ওপেনার শেফালি বর্মা ৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা জেমিমা রডরিগেজও। উইকেটে এক দিক ধরে রেখেছিলেন সহ অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)-বিরাট কোহলিরা (Virat Kohli) এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022) থেকে খালি হাতে দেশে ফিরছিলেন। তবে এশিয়া কাপ (Womens Asia Cup 2022) জিতে বড় স্টেটমেন্ট দিল ভারতের মহিলা দল (Indian Womens Cricket Team)। 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়া তো দূরের কথা, সুপার ফোর পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। সেখানে ভারতের প্রমীলাবাহিনী শুধু ফাইনালে ওঠা নয়, শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka Womens Cricket Team) উড়িয়ে দিয়ে বড় জয় ছিনিয়ে নিল। ৬৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে বাজিমাত করল হরমনপ্রীত কৌরের (Harmanpreet Kaur) দল। এবং সাতবার এশিয়া কাপ জিতে এক অনন্য রেকর্ড গড়লেন ভারতের মহিলা দলের অধিনায়ক হরমন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত মোট সাতটি ট্রফি ফাইনাল খেলেছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। কাকতালীয়ভাবে এই সাতটি প্রতিযোগিতাতেই ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হরমনপ্রীত। ফলে ভারতীয় ক্রিকেট এমন নজির ফের কবে হবে সেটা বলা মুশকিল। হরমনপ্রীত বর্তমানে সব ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়ক। ফলে এই সংখ্য়াটা আরএ বাড়বে।
হরমনপ্রীত টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় প্রথম ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২০১২ সালের এশিয়া কাপে। এরপরে ২০১৬ ও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত ত্রিদেশীয় একদিনের সিরিজ , এছাড়া ২০২০ টি-টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চলতি বছরের কমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হরমপ্রীত। আর এবার এশিয়া কারে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ও চ্য়াম্পিয়ন করে সাতে সাত করলেন এই তারকা ব্যাটার।
— BCCI Women (@BCCIWomen) October 15, 2022
ট্রফি জয়ের পর হরমনপ্রীত বলেছেন, 'আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। আমাদের ফিল্ডিং ইউনিটও প্রথম বল থেকে দুরন্ত ছিল এবং আমরা আলোচনা করেছিলাম যে, আমরা সহজে কোনও রান দেব না। এই উইকেট কেমন আচরণ করছে, সেটা বুঝেই ফিল্ডারদের সাজাতে হবে। এই উইকেট খুব ভালো ভাবে রিড করেছি এবং সেই অনুযায়ী ফিল্ডারদের সাজিয়েছি। আমরা স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছিলামই না। তবে শুধুমাত্র আমাদের পাঁচ ওভারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম। বোর্ডে টোটাল কত তা নিয়ে আমরা কখনও ভাবিনি এবং সেই অনুযায়ী ব্যাটিং করেছি।'
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। কিন্তু প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ধস নামায় ভারতীয় বোলাররা। সিলেটের বাইশ গজে ব্যাট করা যে কঠিন ছিল। তা বলে মাত্র ৬৫ রান! ৬,২,১,৬,০,১— এই হল শ্রীলঙ্কার প্রথম ছয় ব্যাটারের রান। দু’অঙ্কের রান করলেন মাত্র দু’জন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ওশাদি রানাসিংহে করলেন ২০ বলে ১৩ রান। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইনোকা রণবীরার ২২ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। শ্রীলঙ্কার গোটা ইনিংস বাউন্ডারি হল পাঁচটি। ছক্কা মারতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার কোনও ব্যাটারই। রেণুকা সিং ৩ ওভারে ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। স্নেহ রানা ৪ ওভারে ১৩ রানে ২টি উইকেট এবং রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেনন।
৬৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সমস্যায় পড়েন ভারতীয়রাও। শুকনো উইকেটে শুরু থেকেই বল ঘুরছিল। ওপেনার শেফালি বর্মা ৫ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। রান পেলেন না তিন নম্বরে নামা জেমিমা রডরিগেজও (২)। উইকেটে এক দিক ধরে রেখেছিলেন সহ অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা। তিনি চেনা আগ্রাসী মেজাজেই ব্যাট করলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ২৫ বলে ৫১ রান করে। মারলেন ছ’টি চার এবং তিনটি ছক্কা। হরমনপ্রীত ১১ রানে অপরাজিত রইলেন।