ডার্বি জিতে কোচকে শূন্যে ছুড়ে খাবরাদের উচ্ছ্বাস, আনন্দের ঠেলায় খেলার মধ্যেই ভক্ত ঢুকে পড়ল মাঠে
না, এছবি কলকাতা ডার্বিতে দেখা যায় না। ইউরপীয় ফুটবলে যা দেখা যায়, তা কলকাতার ফুটবলে দেখা যাবে, তা কিছুটা অকল্পনীয় হলেও অবিশ্বাস্য নয়। মেসিদের মতই আনন্দে আত্মহারা হলেন খাবরা, রফিক, র্যান্টিরা। শূন্যে ছুড়ে দিলেন লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে। পেছন থেকে কোচের মাথায় জল ছুড়ে দিলেন সহকারীরা। এমন ছবি তো কেবল ইউরোপ ফুটবলেই দেখা যেত, তবে রবিবারের ডার্বি যেন ম্যাঞ্চেস্টার অথবা বার্সা। ত্রিমুকুট জয়ের পর বার্সা কোচ পেপকে আকাশে ছুড়ে দিয়ে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছিল মেসিদের। এবার সেই ছবিই কলকাতার যুবভারতীতে।
কলকাতা: না, এছবি কলকাতা ডার্বিতে দেখা যায় না। ইউরপীয় ফুটবলে যা দেখা যায়, তা কলকাতার ফুটবলে দেখা যাবে, তা কিছুটা অকল্পনীয় হলেও অবিশ্বাস্য নয়। মেসিদের মতই আনন্দে আত্মহারা হলেন খাবরা, রফিক, র্যান্টিরা। শূন্যে ছুড়ে দিলেন লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে। পেছন থেকে কোচের মাথায় জল ছুড়ে দিলেন সহকারীরা। এমন ছবি তো কেবল ইউরোপ ফুটবলেই দেখা যেত, তবে রবিবারের ডার্বি যেন ম্যাঞ্চেস্টার অথবা বার্সা। ত্রিমুকুট জয়ের পর বার্সা কোচ পেপকে আকাশে ছুড়ে দিয়ে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছিল মেসিদের। এবার সেই ছবিই কলকাতার যুবভারতীতে।
শুধু তাই নয়, ফুটবল ভক্তের অপার প্রেমের সাক্ষীও থাকল কলকাতা ডার্বি। ইব্রা, রোনাল্ডো, মেসিদের খেলার মাঝে দর্শকদের কেউ সমস্ত বাধা পেড়িয়ে ছুটেছেন নিজের পছন্দের তারকাকে একবার জড়িয়ে ধরবেন, এই আকাঙ্ক্ষায়। সমকালীন সময়ে এই দৃশ্য প্রায়শই দেখা গেছে। কলকাতাতেও সেই একই ছবি। আগে এমন হয়নি, তা নয়। তবে এবার স্বয়ং খেলোয়াড়ই কিনা ভক্তকে জড়িয়ে ধরেই গার্ডদের বললেন, "কই কুছ নেহি করেগা। আরাম সে ইনকো লে যাইয়ে"। লাল-হলুদ অধিনায়ক গুরবিন্দরকে জড়িয়ে ধরে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন সমর্থক। খেলা থামিয়ে তাকে বাইরে করতে এগিয়ে আসছে পুলিস। আর তখনই গুরবিন্দরের অনুরোধ। এ দৃশ্যে মুগ্ধ গোটা স্টেডিয়াম।
ডার্বি মানেই মারপিট, মদের বোতল ছোড়া, ইট ছোড়াছুড়ি-এই ছবি আর নেই। রবিবারের ডার্বি দেখল ফুটবলের নবজাগরণের অন্য রূপ।