রাজকীয় সংবর্ধনায় স্বাগত নারাংকে
বুধবার নিজের শহর পুণেতে ফিরলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ী শুটার গগন নারাং। বিমান বন্দরে গগনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। বিমানবন্দরে ঘরের ছেলেকে সাদরে বরণ করে নেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। জাতীয় পতাকা, ব্যান্ড নিয়ে রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে গগনকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে।
বুধবার নিজের শহর পুণেতে ফিরলেন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয়ী শুটার গগন নারাং। বিমান বন্দরে গগনের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। বিমানবন্দরে ঘরের ছেলেকে সাদরে বরণ করে নেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। জাতীয় পতাকা, ব্যান্ড নিয়ে রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে গগনকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়ির উদ্দেশে। রাস্তার ধারে জমা হন অসংখ্য মানুষ। একবার গগনকে কাছ থেকে দেখাই তাঁদের লক্ষ্য ছিল। হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে একহাতে পদক নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়ানো মানুষদের উদ্দেশে হাত নেড়ে তাঁদের আশা পূরণ করেন।
এরপর মহারাষ্ট্র সরকার গগনকে সংবর্ধনা দেয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গগন নারাং বলেন দেশের মানুষের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদের জন্যই তাঁর পদক জয় সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যেই গগন নারাংকে তাঁর সাফল্যের জন্য হারিয়ানা সরকার এক কোটি ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের হয়ে প্রথম পদকটি জেতেন গগন নারাং। শুটিংয়ে পুরুষদের দশমিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ জেতেন ভারতীয় শুটার গগন নারাং। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত ৭০১.১ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় নিশ্চিত করেন পঞ্জাবপুত্র নারাং। ফাইনালে নারাংয়ের পয়েন্ট ছিল ৭০১.১। গগন নারাংকে ঘিরে গগনচুম্বী প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছিল দুবছর আগে থেকেই। কমনওয়েলথ গেমসে অভিনব বিন্দ্রাকে টপকে ৪টি সোনা জেতা গগন হয়ে উঠেছিলেন অলিম্পিকে পদকের অন্যতম দাবিদার। শুধু দেশের মাটিতে কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয়ই নয়, শুটিংয়ের বিশ্বকাপে বেজিং অলিম্পিকের পর থেকে গগন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০০৮ ও ২০১২ সালে সোনা এবং ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ সালে ব্রোঞ্জ জিতে গগন যেন তৈরিই হচ্ছিলেন অলিম্পিক পদকের জন্য। অবশেষ সেই স্বপ্নপূরণ হল লন্ডনের মাটিতে।