FIFA World Cup 2022, ENG vs IRAN: নিজেদের দেশের স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ হলেও, কাতারে গিয়ে প্রতিবাদ জানাল একদল ইরানি মহিলা
FIFA World Cup 2022: সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ইরান থেকে আসা মহিলারা জানিয়েছেন, ইরানের কোনও স্টেডিয়ামে মহিলা বা তরুণীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সোমবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হল তাঁদের দেশ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে একদল মহিলা ইরান থেকে কাতার এসেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রক্ষণশীল দেশ ইরান (Iran), কাতারও (Qatar)। কাতারে বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) আসর বসলেও জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। কাতারে থাকতে হলে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না, তা নিয়ে জারি হয়েছে একাধিক নির্দেশিকা। যদিও স্টেডিয়ামে মহিলাদের প্রবেশর ওপর কাতার কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। অন্যদিকে, ইরান রক্ষণশীল দেশ হওয়ায় তারা ফুটবল স্টেডিয়ামে মহিলাদের প্রবেশের ওপর জারি করেছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা।
তবে সোমবার কাতার সাক্ষী থাকল এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের। দোহার (Doha) খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে (Khalifa International Stadium) ইংল্যান্ডের (England) মুখোমুখি হয়েছিল ইরান। নিজের দেশকে সমর্থন জানানোর সঙ্গে দেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য গ্যালারি ভরিয়েছিলেন একদল মহিলা। কাতার দেশজ পৌঁছে যাওয়ার খবর পেয়ে যায় সে দেশে বিশ্বকাপ ম্যাচ কভার করতে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ইরান থেকে আসা মহিলারা জানিয়েছেন, ইরানের কোনও স্টেডিয়ামে মহিলা বা তরুণীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সোমবার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হল তাঁদের দেশ। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে একদল মহিলা ইরান থেকে কাতারে এসেছেন।
— Mohammad Momenfam (@MMomenfam) November 21, 2022
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022, ENG vs IRAN: মাথা ফেটে রক্তাক্ত গোলকিপার বেইরানভান্দ, ১৪ মিনিট বন্ধ ম্যাচ
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২। পুলিসি হেফাজতে কুর্দিশ তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে ইরানে। দেশের মহিলারা প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের দাবি, নারীকে স্বাধীন ভাবে বাঁচার এবং পোশাক পরার অধিকার দিতে হবে। এ নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ চলবে না। মাহশার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, সেই প্রতিবাদই এখন দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের মৃত্যু পর্যন্ত চাইছে।
সেই প্রতিবাদে এবার মহিলাদের সঙ্গে গলা মেলালো ইরানের ফুটবল দল। হ্যারি কেনের দলের কাছে ইরান ১-৬ গোলে হেরে গেলেও, ফুটবলারদের প্রতিবাদ থামার নাম নেই। বরং সরকার-বিরোধী আন্দোলন চলছে। কিছু দিন আগেই গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়েছে। বিক্ষোভকারী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীতে গলা মেলালেন না ইরানের ফুটবলাররা। ম্যাচের আগেই ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবকশ জানিয়েছিলেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে কিনা সেটা দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ইরানের বেশির ভাগ ফুটবলারই জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার পক্ষে মত দেন। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, স্টেডিয়ামে হাজির অনেক সমর্থকও জাতীয় সঙ্গীতের সময় চুপ ছিলেন। ফলে ম্যাচের ফলাফলের থেকে নিজের দেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ কিন্তু অন্য বার্তা যোগ করল।