Explained | Japan's Controversial Goal | VAR: গোল বির্তকে অংশ নেওয়ার আগে ভালো করে বুঝে নিন খেলার নিয়ম
Japan's Controversial 2nd Goal Against Spain: স্পেনের বিরুদ্ধে জাপানের দ্বিতীয় গোল নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। তবে কেন এই গোল বৈধ, তা বুঝতে জানতে হবে নিয়ম।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জাপান ২-১ গোলে (Japan vs Spain) স্পেনকে হারিয়ে ফের চমকে দিয়েছে চলতি বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022)। জার্মানির পর এবার স্পেন! এশিয়ার শক্তিধর দেশ তাদের আগুনে ফুটবলের ব্যাক-টু-ব্যাক ধরাশায়ী করেছে ইউরোপের দুই জায়ান্ট টিমকে। খালিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে হাজিমে মোরিয়াসুর (Hajime Moriyasu) শিষ্যদের খেলায় মোহিত হয়েছে বিশ্ব। একথা যেমন ঠিক, তেমনই জাপানের দুরন্ত জয়ের সঙ্গেই জুড়েছে গোল বিতর্ক। ম্যাচের ৫১ মিনিটে আও তানাকার (Ao Tanaka) ওরফে জাপানের দ্বিতীয় গোল, আদৌ গোল ছিল না বলেই মত ফুটবলমহলের একাংশের। প্রথমে এই গোল রেফারি বাতিল করে দেন, পরে যদিও তিনি ভিএআর (VAR) প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জানিয়ে দেন যে, গোলটি বৈধ। অনেকে আবার প্রযুক্তি নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন। অনেকের মতে ভিএআর-এ রয়েছে গলদ! জাপানের দ্বিতীয় গোল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক অব্যাহত। বলা ভালো এখনও নেটদুনিয়ার অন্যতম চর্চিত টপিক।
এখন প্রশ্ন কী নিয়ে বিতর্ক?
দোয়ানের ডান দিকে আসা ক্রস স্পেনের গোলপোস্টের পাশে দিয়ে গোললাইন পেরিয়ে গেছিল। জাপানি উইঙ্গার কাওরু মিতোমা আগুনে গতিতে ছুটে ক্রস বাড়ান তানাকাকে। তিনি শুধু পা ছুঁইয়ে ফিনিশ করেন। তখন রেফারিংয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান রেফারি ভিক্টর গোমেজ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোল বাতিল করেন। পরে প্রযুক্তির সাহায্যে গোলটির বৈধতা দেন তিনি। মিতোমা ক্রস করার আগেই বল বাইলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। এমন ছবিতেই নেটদুনিযা ছেয়ে গিয়েছে। এরপরেই শুরু বিতর্ক।
কেন এবং কী ভিত্তিতে গোলটিকে বৈধতা দেওয়া হল? এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, বল টাচলাইন পেরিয়ে গিয়েছিল। তবে খুব ভালো করে খেয়াল করলে বোঝা যাবে, যে বলটি কিন্তু পুরোপুরি বেরিয়ে যায়নি টাচলাইন ছেড়ে। অর্থাৎ গোলের জন্য বিবেচ্য অনুমোদিত সীমার মধ্যেই ছিল বল। ফিফার ভাষায় বলের 'কার্ভেচর ছিল লাইনের মধ্যেই'। ঠিক এই যুক্তিতেই ভিএআর টিম গোলকে দিয়ে দেন সবুজ সংকেত। ফুটবলের নিয়ম প্রণেতা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড ওরফে আইএফএবি তাদের গাইডবুকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, গোলের ক্ষেত্রে বলটি টাচলাইনের বাইরে চলে গিয়েছে, একথা তথনই বলা যাবে, যখন বল পুরোপুরি গোললাইন বা টাচলাইনের পার করে যাবে। তা গড়িয়ে হোক বা বাতাসে। ফলে সব বিতর্কের এখানেই ইতি। জাপানের দ্বিতীয় গোল তাই বৈধ।
জাপানের এই জয়ের জন্যই জার্মানি ৪-২ ব্যবধানে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জিতেও ছিটকে গেল বিশ্বকাপ থেকে। চারবারের চ্যাম্পিয়ন দল ২০১৮ সালের পর ফের প্রথম পর্বেই আটকে গেল। বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে থাকতে হলে জেতা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না জার্মানির। শুরুটা সেভাবেই করেছিলেন থমাস মুলাররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সব এলোমেলো হয়ে গেল। পিছিয়ে পড়ে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে জিতলেও শেষ ষোলোয় যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল তাদের। গোল পার্থক্যে গ্রুপের তিন নম্বরে শেষ করে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল জার্মানি।পয়েন্ট টেবলের ফার্স্টবয় হয়ে জাপান খেলবে শেষ ষোলোয়।