এবার আর ডার্ক হর্স নয় কিউইরা

Updated By: Feb 12, 2015, 07:53 PM IST
এবার আর ডার্ক হর্স নয় কিউইরা

পার্থ প্রতিম চন্দ্র

মার্টিন ক্রো, ক্রিস কেয়ার্ন্স, ন্যাথান অ্যাসল, স্টিফেন ফ্লেমিং। বিশ্বকাপে যারাই নিউজিল্যান্ডের হয়ে মুখ হয়ে খেতলে নেমেছেন, ততবারই ডার্ক হর্স হিসাবে রাখা হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে চমকপ্রদ পারফরম্যান্সের পর থেকে যতবার বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে কিউইরা, ততবার তাদের ডার্ক হর্সের তকমা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর থেকে যতগুলো বিশ্বকাপ হয়েছে প্রতিটাতে সেমিফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে কোনওবারই তারা ফেভারিটের তকমা পায় না। এর কারণটা হতে পারে, তারকা ক্রিকেটার বলতে যা বোঝায় সেটা নিউজিল্যান্ডে থাকে না।

মধ্যমানের কাজ চালানো ক্রিকেটারদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যায় কিউই দলে। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই কার্যকর বেশি চর্চিত কম থাকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ব্যাপরটা বদলে গিয়েছে। বিশ্বের সেরা ২৫ জন ক্রিকেট বিশ্লেষক, প্রাক্তন ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেসে করলে অন্তত ৯০ শতাংশ বলবেন ব্র্যান্ডন ম্যাকুলামের দল অন্তত সেমিফাইনালে উঠবে। এক ধাপ এগিয়ে অনেকে বলছেন, এবার আর শুধু সেমিফাইনালে গিয়ে আটকে যাওয়া নয় প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালেও খেলতে পারে নিউজিল্যান্ড।

শুরুতে মার্টিন গুপ্তিল, ব্র্যান্ডন ম্যাকুলামের মত ওপেনার। তিন নম্বরে এখন ওয়ানডে ক্রিকেটের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়াসন। তারপর রস টেলর, গ্র্যান্ড ইলিয়টের মত ব্যাটসম্যান। স্লগ ওভারের জন্য তোলা থাকছে ৩৬ বলে শতরান করার রেকর্ড থাকা কোরি অ্যান্ডারসন। আর সাত নম্বরে লুক রঞ্চি, যিনি শেষের দিকে যে কোনও অবস্থা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এত ভরসাযোগ্য ব্যাটিং লাইন আপ চলতি বিশ্বকাপে খুব কম দেশের আছে। এবার দলের বোলিংটা দেখে নিন। ওয়ানডে ক্রিকেটে শুরুতে এখন যে বোলিং জুটির কদর সবচেয়ে বেশি তারা হলেন টিম সাউদি আর ট্রেন্ট বোল্ট। সাউদি- বোল্টের নিয়ন্ত্রিত লাইনলেন্থ, গতি মিশ্রিত সুইং যে কোনও দলকে ভয় ধরিয়ে দিতে পারে। স্পিনার হিসাবে আছেন সেই বহু যুদ্ধের নায়ক ড্যানিয়েল ভিট্টোরি। যার দশ ওভারে রান তোলা খুব কঠিন। কাইল মিলস, ন্যাথান ম্যাকুলামরাও নিঃশব্দে বিপক্ষের ক্ষতি করে দিতে পারেন।

তাই এবার আর ডার্ক হর্স নয় ফেভারিট হিসাবেই নামছে নিউজিল্যান্ড।  
 

.